জাহিদ হাসান, চবি প্রতিনিধি:: দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম একটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। যাকে সংক্ষেপে ‘চবি’ বলা হয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা অনেকটা দরজায় কড়া নাড়ছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ভর্তি পরীক্ষার রুটিন, আবেদনের যোগ্যতা, আবেদন ফিসহ সব নীতিমালাই চূড়ান্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি।
আবেদনের যোগ্যতাঃ
শুধুমাত্র যারা ২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তারাই এবার ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে ‘বি’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের মোট জিপিএ-৮.০০ এবং প্রতিটিতে নূন্যতম জিপিএ-৩.২৫; মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের মোট জিপিএ-৭.৫ এবং প্রতিটিতে নূন্যতম জিপিএ-২.৭৫; ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সর্বনিম্ন দুটিতে মোট জিপিএ-৮ এবং প্রতিটিতে নূন্যতম জিপিএ-৩.২৫ অর্জন করতে হবে।
‘বি১’ উপ-ইউনিটের অধীনে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ অধিভুক্ত চারুকলা ইনিস্টিউট, নাট্যকলা বিভাগ ও সঙ্গীত বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের জন্যও একই যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘ডি’ ইউনিটের অধীনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ (আংশিক) ও জীববিজ্ঞান অনুষদের দুটি বিভাগের (আংশিক) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বনিম্ন দুটি মোট জিপিএ-৭.৫০ এবং প্রতিটিতে নূন্যতম জিপিএ-৩.৫০ নির্ধারণ করা হয়েছে৷
‘এ’ ইউনিটের অধীনে বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং সমুদ্রবিজ্ঞান ও মৎসবিদ্যা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বনিম্ন দুটি মোট জিপিএ-৮.০০ এবং প্রতিটিতে আলাদাভাবে জিপিএ-৪ নির্ধারণ করা হয়েছে৷
‘সি’ ইউনিটের অধীনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বনিম্ন দুটি মোট জিপিএ-৮.০০ এবং প্রতিটিতে আলাদাভাবে জিপিএ-৪ নির্ধারণ করা হয়েছে৷
‘ডি১’ উপ-ইউনিটের অধীনে শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বনিম্ন দুটি মোট জিপিএ-৭.৫ এবং প্রতিটিতে আলাদাভাবে জিপিএ- ৩.৫ নির্ধারণ করা হয়েছে৷
পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
ভর্তি পরীক্ষা বরাবরের মতোই ১২০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) ও বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ থেকে যুক্ত হবে।
আবেদন ফিঃ
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ইউনিট/উপ-ইউনিটে আবেদন ফি গতবারের মতো ৪৭৫ টাকা ও আবেদন প্রসেসিং ফি ৭৫ টাকাসহ সর্বমোট ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদন ফি বিকাশ, রকেট ও শিওর ক্যাশের মাধ্যমে দেয়া যাবে।
ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচিঃ
এবারের ভর্তি পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পাসে ২২ হাজার শিক্ষার্থী বসার মতো আসন রয়েছে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা বিবেচনায় ১৫ হাজার করে পরীক্ষা কয়েক শিফটে নেয়া হবে। ২২ ও ২৩ জুন ‘বি’ ইউনিট, ২৪ ও ২৫ জুন ‘ডি’ ইউনিট, ২৮ ও ২৯ জুন ‘এ’ ইউনিট ও ৩০ জুন ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১ জুলাই উপ-ইউনিট ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনের সময়সীমাঃ
গত ০৫ এপ্রিল থেকে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও চলমান লকডাউনের ককরনে তা স্থগিত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
আসন সংখ্যাঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১৪টি, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, ‘সি’ ইউনিটে ৪৪২টি, ‘ডি’ ইউনিটে ১ হাজার ১৫৭টি।
উপ ইউনিটের মধ্যে ‘বি১’ ইউনিটে ১২৫টি ও ‘ডি১’ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।