ফখরুল ইসলাম রিয়াজ, মীরসরাই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত মুজাহিদুল ইসলাম জাহেদের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আদরের সন্তানকে হারিয়ে শোকে নিথর হয়ে পড়েছে মানষিক প্রতিবন্ধি মা ছকিনা বেগম ও বাবা মীর হুমায়ুন কবির। প্রথম দিকে মাদ্রাসায় পড়া জাহেদের স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলেও বাবা-মার স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেল। নিহত জাহেদের গ্রামের বাড়ী মীরসরাই উপজেলার ৯ নম্বর মীরসরাই ইউনিয়নের পূর্ব কিছমত জাফরাবাদ গ্রামের হাজী জহরুল হক সওদাগর বাড়ী। ৩ ভাই ২ বোনের মধ্যে জাহেদ ছিল ৩য়। স’ানীয় মান্দার বাড়িয়া মাদ্রাসা থেকে ৫ম শ্রেণী পাশ করার পর সুফিয়া নুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করে। দাখিলে সে গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করে। এরপর চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
গতকাল বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় জাহেদের গ্রামের বাড়িতে তার মৃত্যু সংবাদ এলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। এলাকার কয়েকজন লোকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, জাহেদ ছিল মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের কখনোই কারো সাথে সে খারাপ আচরণ করেনি। তার মৃত্যুতে নিকটাত্নীয়দের পাশাপাশি এলাকাবাসীও শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে। তারা তাদের এলাকার এ মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছিলেন না। কান্না জড়িত কণ্ঠে নিহত জাহেদের বাবা মীর হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমার ছেলে ছুটি শেষে ১৫দিন আগে বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। গত মঙ্গলবার রাতে তার সাথে আমার শেষ কথা হয়। তখন, ছেলেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান উত্তপ্ত পরিসি’তির কারনে বাড়িতে চলে আসতে বলেছিলাম। কিন’ সে ফিরে না আসায় এভাবে হায়েনাদের হাতে তাকে মরতে হল। তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন, যারা আমার আদরের সন্তানকে অন্যায়ভাবে খুন করেছে আমি তাদের বিচার চাই।