খোরশেদ আলম বাবুলখোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় শান্তা আক্তার আরব আমিরাত (দুবাই) প্রবাসী সোহেল মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জাড়িয়ে পড়ে। প্রেমের সম্পর্ক স্থায়ী করে উভয় উভয়কে জীবন সঙ্গী করতেও প্রস্তুত ছিলো শান্তা-সোহেল জুটি।

সোহেল আরব আমিরাতের দুবাইতে থেকেও শান্তার খোঁজ খবর নিতো। মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনে নগদ টাকা পাঠিয়েও শান্তার চাহিদা পূরণ করতো সোহেল। শান্তাও লক্ষি মেয়ের মতো সোহেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবস্থান করতো না। শান্তা-সোহেলের ভাব আরো গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে।

সোহেল ৩১ অক্টোবর দুবাই থেকে দেশে ফেরে শান্তার সাথে ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে রূপ দিতে। সোহেলের বিয়ের দিনক্ষণ সত্যিই নির্ধারণ হয় তবে শান্তার সাথে নায়। কারণ সোহেলের পরিবার অন্যত্র সোহেলের বিয়ের দিন ধার্য করে। পরিবারের পছন্দের কণেপক্ষ সোহেলের বাড়িতে আসার সংবাদ পেয়ে শান্তা মঙ্গলবার সকাল থেকে সোহেলের বাড়িতে অস্থান করে। এ খবর এলাকা সহ পুলিশ ফাঁড়ি ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পৌছে যায়।

সোহেল পড়ে যায় বেকায়দায়। বাবা-মায়ের অমতে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চাইলে বাব-মায়ের আত্মহত্যার হুমকি আবার বাবা-মায়ের ইচ্ছায় প্রাধান্য দিয়ে তাদের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করতে ইচ্ছা পোষন করলে প্রেমিকার আত্মহ্যার হুমকি।

এক পর্যায়ে পরিবারের পছন্দ করা মেয়ে পক্ষ সোহেলদের বাড়ি থেকে চলে যায়। স্থানীয় মুরব্বিরা সোহেলের বাবা-মা ও পরিবার এবং প্রেমিকা শান্তাকে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়।

সোহেল শান্তাকেই বিয়ে করবে এ কথা পাকাপাকি করে এবং শান্তাকে বুঝিয়ে মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

শান্তার কৃর্ত্তী নগরের পিত্রালয়ে সোহেল বর সেজে বরযাত্রী নিয়ে যায়। বুধবার দুপুরে বর পক্ষ শাান্তার পিত্রালয়ে মধ্যহ্ন ভোজ খেয়ে বিকালে স্থানীয় কাজী সিদ্দিকুর রহমানের মাধ্যমে কাবিন রেজিষ্ট্রি ও স্থানীয় মসজিদের ইমামের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেন। নতুন বর সোহেল শ্বশুরালয় অবস্থান করছেন।

শান্তা নিজেও জানে তার বিয়ের বয়স হয়নি তাছাড়া সামনে তার এসএসসি পরীক্ষা। তদুপরি নিজেদের প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে বাস্তবায়ন করার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায়নি শান্তা।

এক পর্যায়ে প্রকৃত ভালোবাসার জয় হয়েছে। শান্তা-সোহেল জুটি বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী। শান্ত-সোহেল সকলের দোয়া কামনা করছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here