চট্টগ্রামে শিবিরের ডাকে অর্ধদিবস হরতাল বিচ্ছিন্ন কিছু চোরাগোপ্তা হামলা এবং গাড়ি ভাংচুর মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে। হরতাল শুরুর পর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্পটে হামলা চালিয়ে শিবিরকর্মীরা কমপক্ষে ১৫/২০ টি যানবাহন ভাংচুর করেছে।
নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিকেটিংয়ের সময় চার শিবিরকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে হরতালের সমর্থনে রাস্তায় তেমন কোন পিকেটিং কিংবা মিছিল, মিটিং প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।
তুলনামূলকভাবে কম হলেও নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক আছে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আমেনা বেগম জানান, ‘বিভিন্ন এলাকায় গলি থেকে বের হয়ে শিবিরকর্মীরা ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ভাংচুর করেছে।
বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে দু’জন নিহতের পর চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার আধাবেলা হরতালের ডাক দেয় শিবির।
ভোর ৬টায় হরতাল শুরুর পর পুলিশ নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড় এলাকায় জামায়াত ইসলামীর কার্যালয় এবং চন্দনপুরায় ছাত্রশিবিরের কার্যালায়ের সামনে অবস্থান নেয়। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্পটে ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর চকবাজার এলাকায় পুলিশবাহী একটি বাসে চোরাগোপ্তা হামলা চালায় শিবিরকর্মীরা। এতে বাসটির কিছু অংশ ভাংচুর করে। একই সময় চন্দনপুরা, কাজির দেউড়ি মোড়, প্রবর্ত্তক মোড়, মেডিক্যাল কলেজ গেইট, মাইলের মাথা, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, আসকার দিঘীর পাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিকভাবে যানবাহন ভাংচুর করে শিবির।
নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার আরেফিন জুয়েল জানান, নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাড়ি ভাংচুরের জন্য জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি বদিউল ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কমকে জানান, ছাত্রশিবিরের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের বর্বরোচিত হামলায় দু’শিবির নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদ এবং খুনিদের গ্রেফতারসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে অর্ধদিবস হরতাল ডাকা হয়েছে।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিবির নেতাদের মুক্তি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরসহ পুরো জেলায় এ হরতাল চলবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/চট্রগ্রাম