চট্টগ্রামে চলন্ত ট্রেনের উপর থেকে পড়ে এবং ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে পৃথক ভাবে এক মহিলাসহ ২ জন নিহত হয়েছে। পা হারিয়ে গুরুত্বও আহত হয়েছে এক শিশু। আজ শুক্রবার সকালে নগরীর ষোলশহর রেলগেইট এবং জেলার সীতাকুন্ডের ফৌজদার হাট এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে।
জিআরপি থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনের কাছে রেল লাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের নীচে কাটা পড়েন রত্না দে (৪৫) ও তার শিশু সন্তান প্রিয়ব্রত দাশ (০১)।
ষোলশহর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কাজী মো. রকিব উদ্দিন জানান, উক্ত মহিলা তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে রেল লাইন পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শার্টল ট্রেনের নীচে কাটা পড়েন। টহল পুলিশ তাদের উদ্ধার কর দ্রুত ২জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেয়ার পর রত্না দে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যায়। এবং তার শিশু সন্তান প্রিয়ব্রত দাশ বেঁচে থাকলেও তার দু পা কাটা পড়েছে বলে জানান, চমেক হাসপাতালের পুলিশ কর্মকর্তারা।
জানাগেছে, নিহত রত্না দে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার আঁধারমানিক ইউনিয়নের নতুনবাজার গ্রামের জনৈক সুভাষ দের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়ি থেকে নগরীতে মেয়ের বাসায় তিনি বেড়াতে এসেছিলেন।
এদিকে সকালে সীতাকুন্ডে ফৌজদারহাট এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে জিআরপি থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন, চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর হবে। তার মাথার পেছন দিক থেতলে গেছে। তার পরনে লাল রংয়ের শার্ট ও প্যান্ট রয়েছে। স্থানীয় লোকজন কেউই তাকে শনাক্ত করতে না পারায় পুলিশ নিহতের পরিচয় স¤পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি।
এব্যপারে চট্টগ্রামের জিআরপি থানার ওসি জানান, সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন ফৌজদারহাট মূল স্টেশন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় । এ ঘটনায় জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে বলে তিনি জানান।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/চট্রগ্রাম