পুরনো ইট, চুন, সুরকি দিয়ে নির্মিত হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ ভবনে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবন ধসে যে কোন মূহূূর্তে প্রাণহানির মতো বড় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই পুরো ভবন দিয়ে পানি পড়ে স্কুলের পাঠদান ও মূল্যবান কাগজপত্র বিনষ্ট হয়। ধারাবাহিক ভাবে খসে পড়ছে পাস্টার। মূল ভবনের সবক’টি দেয়ালে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সদরের প্রাণকেন্দ্র উপজেলা প্রশাসনের সম্মুখে জরাজীর্ণ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় ১২ থেকে ১৪ শত শিক্ষার্থী পাঠদানের এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। পুরনো চুন, সুরকির সঙ্গে বড় বড় লোহার ভিম স্থাপন করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রায় ৪০-৪৫ বছর আগে নির্মিত এ ভবনের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে মূল ভবনের ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে ভেতরের অংশে লোহার পাত বের হয়ে গেছে। বৃষ্টির সময়ে ফাটল দিয়ে পানি পড়ে। বৃষ্টির পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের বইপত্র ও মূল্যবান কাগজপত্র বিনষ্ট হচ্ছে বলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান। স্কুলের প্রধান শিক্ষ আলী আহমেদ বলেন, দীর্ঘ বহু বছর থেকে ভবনটি শিক্ষার্থীদের পাঠদান হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছিল। এ দিকে গত কয়েক বছর আগে ভবনটি ঝুকিপুর্ণ হলে আমি চট্টগ্রাম শিক্ষা অধিদপ্তরে চিটি প্রেরণ করি। এ ভাবে কয়েক বছর চলে গেলে শিক্ষা অধিদপ্তর ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন। কিন্ত ঝুকিপুণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হযনি। বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় এ ভবনে পাঠদান বা আশপাশ দিয়ে চলাচল করতে হয় আতংকের মধ্যে দিয়ে। যে কোনও সময় ভবনটি ধসে পড়ে প্রাণহানির আশংকা রয়েছে। তারপরও বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ২-১টি ক্লাস রুম কাজকর্ম পরিচালনা করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে একটি নতুন ভবন করা প্রয়োজন বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান শিক্ষক শিক্ষা অধিদপ্তরকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। সরেজমিন স্কুল ভবন পরিদর্শনে গেলে দেখা হয় স্কুলের পরিচালনা কমিঠি’র সদস্য আব্দুর শুক্কুর ও মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন তারা এ প্রতিবেদককে বলেন,দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে স্কুল ভবনটি জরাজীর্ণ ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় প্রশাসনকে একাধিকবার জানানোর পরও নতুন করে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না কর্তৃপক্ষ। ইউএনওসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভবনটি একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন বলে তিনি জানান। ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলটির কথা স্বীকার করে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখ ফরিদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, জরুরিভিত্তিতে ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন না হলে যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাসহ প্রাণনাশের আশংকা রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকেও শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।
মোহাম্মদ হোসেন