চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের হস-ক্ষেপে সামাজিক ব্যাধি নামক বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল ফাতেমা ইয়াছমিন শিবলী (১৫) নামে শিক্ষার্থী। বাল্য বিবাহ হতে রক্ষা পাওয়া ফাতেমা ইয়াছমিন ছিপাতলী জামিয়া গাউছিয়া মঈনিয়া আলীয়া মাদ্রসার দাখিল পরীক্ষার্থী। এতে করে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে আর কোন বাধা নেই ফাতেমার। গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় গোপনে উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের কাজীর বাড়িতে ফাতেমার আকদ্ অনুষ্ঠান চলাকালে থানা পুলিশ উপসি’ত হয়ে এই অনুষ্ঠিত পন্ড করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের কাজির বাড়ির নূর কাদেরের মেয়ে ছিপাতলী জামিয়া গাউছিয়া মঈনিয়া আলীয়া মাদ্রসার দাখিল পরীক্ষার্থী ফাতেমা ইয়াছমিন শিবলী (১৫) সাথে আকদ্ অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করা হয় নন্দীর হাট এলাকার ইব্রাহিম ডাক্তারের বাড়ির মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মো: তসলিমের (৩২)। আর এই বাল্য বিয়ের খবর এলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর পক্ষে এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে মহিউদ্দিন রনি নামে এক যুবক গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিক্তিতে হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হাক্কানি তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস’লে উপসি’ত হয়ে ফাতেমার বাড়িতে অনুষ্টিতব্য আকদ্ অনুষ্টান পন্ড করে দেয় এবং ফাতেমাকে বিয়ে না করার জন্য তসলিমের কাছ থেকে মুচলেখা নেয় বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান।
ফাতেমা ইয়াছমিন দাখিল পরীক্ষার্থী কিনা ছিপাতলী জামিয়া গাউছিয়া মঈনিয়া আলীয়া মাদ্রসার অধ্যক্ষআবুল ফারাহ মো: ফরিদ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিশ্চিত করে বলেন যে, ফাতেমা এই মাদ্রসার শিক্ষার্থী। সে এবার দাখিল পরীক্ষায় দেওয়ার জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায়ও অংশগ্রহন করেছে। তবে ফনম পূরণ করেছে কিনা তা আমাকে দেখতে হবে।
এই সর্ম্পকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখ ফরিদ আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, মহিউদ্দিন রনি নামে এক যুবক আমার বরাবরে অভিযোগ করলে বিষয়টির ব্যপারে আমি থানা পুলিশ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়। পুলিশ প্রশাসন ক্ষতিয়ে দেখার পর সুনিশ্চিত হয়েছে য়ে, এই বিয়েটি সরকার প্রদত্ত নিয়ম নীতি অনুয়ায়ী হচ্ছে না। তাই এই বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আবু তালেব/হাটহাজারী