ডেস্ক রিপোর্ট:: আরব সাগর থেকে উঠে আসা ঘূর্ণিঝড় তাউতে ভারতের গুজরাট উপকূলে আঘাত হেনেছে। সোমবার (১৭ মে) দিবাগত মধ্যরাতে ঘণ্টায় প্রায় ১৬০ বেগে গুজরাট উপকূলে আঘাত হানে। এতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূলী এলাকা।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, তাউতের আঘাতে ভেঙে পড়ে গাছপালা, উপকূলীয় কিছু আধাপাকা ঘরবড়ি, উপড়ে যায় বিদ্যুদের খুঁটি। সেখানকার রাস্তাঘাটও প্লাবিত হয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এটা টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাত পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তোলে। ঝড়ের আঘাতে ভিন্ন ঘটনায় নিহত হন কমপক্ষে ১৪ জন। এছাড়া একই সময়ে আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এনডিটিভি আরও জানায়, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি পোরবন্দর ও মহুভার মধ্যবর্তী উপকূল অতিক্রম করবে। এ সময় ঘণ্টায় এটি ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি বজায় রাখবে। আশপাশের অঞ্চলে অত্যন্ত শক্তিশালী বাতাস বইছে।

এসব এলাকা থেকেও দেড় লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, মুম্বাইতে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। এতে ভারতের মহারাষ্ট্রে কমপক্ষে ছয়জন মারা গেছেন ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এদিকে মুম্বাইয়ের অদূরে দুটি বার্জ নৌকা থেকে ৪০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধারের জন্য ৩টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। এছাড়া জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও গুজরাটের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫৪টি দলকে উপকূলবর্তী নিচু এলাকাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

ঝড়ের কারণে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বন্দর সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছে বান্দ্রা-ওয়ারলি সমুদ্র বন্দরও।

তাউতের প্রভাবে উপকূলীয় রাজ্য কর্নাটকে আটজন মারা গেছেন। রাজ্য বিপর্যয় পরিচালন কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কন্নড়, উদুপি, উত্তরা কন্নড়, কোডাগু, চিক্কামাগুরু, হাসান ও বেলাগাভি এই সাতটি জেলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here