ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক ::
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী, শনিবার ঘাসফুল প্রতিষ্ঠাতা শামসুন্নাহার রহমান পরাণ এর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ঘাসফুল আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসুচি আজ ঘাসফুল ঢাকা অফিস: শ্যামলী, মোহাম্মদপুরে খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
দোয়া মাহফিলে ঘাসফুল- ডেপুটি ডায়রেক্টর জয়ন্ত কুমার বসু , এডুকেশন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সিরাজুর ইসলাম, অফিসার (এডমিন এন্ড কমিউনিকেশন) আদিবা তারান্নুম, ঢাকার প্রতিটি ঘাসফুল শাখার ক্রেডিট ম্যানেজার, এডুকেশন প্রোগ্রাম সুপারভাইজার ও সকল শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। সকলে শামসুন্নাহার রহমান পরাণ এর জীবন-কার্য গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মৃতিচারণ করেন।
এর আগে সকালে আজিমপুর কবরস্হানে মরহুমা শামসুন্নাহার রহমান পরাণ এর কবর ফুল দিয়ে যিয়ারত করা হয়।
উল্লেখ্য ঘাসফুল প্রতিষ্ঠাতা মরহুমা শামসুন্নাহার রহমান পরাণ ১৯৪০ সালে ০১ জুন চট্টগ্রাম এনায়েতবাজার বাটালীরোডস্থ মাতুতালয় মায়াকুটিরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৭২ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরাণ রহমান উন্নয়ন সেক্টরে একজন অতিপরিচিত এবং নন্দিত নারী। তিনি সমাজের অচ্ছুত সম্প্রদায়ের দলিত/হরিজন কমিউনিটি, উপকুলীয় জেলে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সাঁওতাল, ওঁরাও সস্প্র্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন, শিশু অধিকার, প্রবীণ অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন। পরাণ রহমান কাজ করেছেন একাত্তরের মক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি আদায়ে এবং তাদের পুর্নবাসনে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে, দেশের অভ্যন্তরে শেল্টার ফোর্স হিসেবে লড়াই করেছেন দেশমাতৃকার স্বাধীনতাযুদ্ধে।
নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাঁর রেখে যাওয়া কীর্তি বিবেচনা করে বর্তমান সরকার পরাণ রহমানকে বেগম রোকেয়া পদক-২০২১-এ ভূষিত করেন। রাষ্ট্রীয় এই সম্মান বেগম রোকেয়ার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে পরাণ রহমানের যথার্থ মুল্যায়ন।
অবসরে তিনি ছোটগল্প, কবিতা, এবং পত্র- পত্রিকায় বিভিন্ন চলমান ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করেছেন। তাঁর লেখা অনেকগুলো প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা এবং গ্রন্থ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত তাঁর লেখা ১০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
ঘাসফুল পরিবার মরহুমা পরাণ রহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।