স্টাফ রিপোর্টার :: নেচে-গেয়ে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। খোঁপায় ফুল, গলায় মালা আর রঙিন শাড়িতে মেতে উঠে পুরো ক্যাম্পাসের আঙ্গিনা। সেই সঙ্গে চলে ঢোল-তবলায় বাঙালিয়ানা সংস্কৃতির নানা পরিবেশনা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে মূল আয়োজন ‘বসন্ত বরণ-১৪২৬’ উদযাপন শুরু হয়।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, সবচেয়ে জৌলুসময় ঋতু হলো বসন্ত। আর পহেলা বৈশাখের পর বাঙালির দ্বিতীয় প্রাণের উৎসব হলো ‘পহেলা ফাল্গুন’। তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসন ও দেশীয় স্বৈরশাসকের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে এক সময় বসন্ত উদযাপন শুরু হয়েছিল। আজ তা গোটা বাঙালির আবেগ। দেশীয় সংস্কৃতির এই অনুষঙ্গকে আজীবন ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রীতি অনুযায়ী ১৩ই ফেব্রুয়ারি বসন্ত উদযাপন হলেও এবার ১৪ ফেব্রুয়ারি। তিনি বলেন, প্রকৃতির মতো শিল্প-সাহিত্য এমনকি রাজনীতিতেও বসন্ত বাঙালি জীবনে তাৎপর্যময়। কেননা এ বসন্তেই মায়ের ভাষার রক্ষার আন্দোলন হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীজ রোপিত হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, বসন্ত মানেই নতুন সাজে প্রকৃতির মুখরিত হওয়ার দিন। পুলকিত হওয়ার দিন। তাছাড়া শীতের জরাগ্রস্ততা কাটিয়ে কোকিলের কলতানে উন্মাতাল হওয়ার দিনও এই বসন্ত।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে লাল-হলুদ পাঞ্জাবির সাজে পুরো ক্যাম্পাস উৎসবের ভিন্ন রং খুঁজে পায়। গ্রাম বাঙলার ঐতিহ্যে নাচে গানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা। যেন সবাই বলে উঠে- ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here