বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের কার্যক্রমে বাধা দেয়া যাবে না মর্মে চেম্বার বিচারপতির আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

সোমবার প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

একই সাথে গ্রামীণফোনের স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স নবায়ন বিষয়ে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দেবে এবং আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিটিআরসিকে আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন, ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, খন্দকার রেজা-ই রাকিব ও আজমালুল হোসেন কিউসি। অন্যদিকে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মেহেদি হাসান চৌধুরী।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বেঞ্চ এই বিষয়ে তিনটি আদেশ দেয়।

আদেশগুলো হল, এক. গ্রামীণ ফোনের কার্যক্রমের উপর বাধা দেয়া যাবে না। দুই. লাইসেন্স নবায়ন বিষয়টি স্থিতিশীল বজায় রাখতে হবে। তিন. বিষয়টি আদালত নিষ্পত্তি করবে।

সাথে আদালত জানায়, স্পেকট্রাম ফি নিয়ে গ্রামীণফোনকে দেয়া বিটিআরসির চিঠি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার বিষয়ে উভয় প্রতিষ্ঠান আপাতত কেউ কাউকে চাপ বা কার্যক্রমে বাধা দিতে পারবে না।

গত ২৬ অক্টোবর হাইকোর্ট ২০০৮ সালে বরাদ্দ করা স্পেকক্ট্রাম ফি বাবদ গ্রামীণফোনের কাছে টাকা চেয়ে বিটিআরসির দেয়া চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে। পরে ওই আদেশ স্থগিতাদেশ চেয়ে চেম্বার বিচারপতির কাছে যায় বিটিআরসি।

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে বিটিআরসির করা আবেদনের শুনানিতে গত ১ নভেম্বর বিব্রতবোধ করেন সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত চেম্বার বিচারপতি।

টু-জি লাইসেন্স নবায়নে গ্রামীণফোনকে (জিপি) গত ১৭ অক্টোবর দেওয়া চিঠিতে ২০০৮ সালে বরাদ্দ হওয়া স্পেকক্ট্রামের জন্য বিটিআরসি আরো ৩৮৪ কোটি টাকা দাবি করে।

গ্রামীণফোন বলছে, ২০০৮ এ ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ স্পেকক্ট্রাম ১৮ বছরের জন্য ৮০ কোটি টাকা দিয়ে বরাদ্দ পায় তারা। তখন লিখিত চুক্তি হয়, ভবিষ্যতে লাইসেন্স নবায়নের জন্য এ বিষয়ে কোনো মাশুল দিতে হবে না।

অন্যদিকে, বিটিআরসির দাবি, লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা অনুযায়ী ২০০৮ এর বরাদ্দকৃত স্পেকক্ট্রামের ওপর মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) আমলে নিয়েই ৩৮৪ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here