ডেস্ক রিপোর্ট : : গরুর নানা উপকারিতা নিয়ে গো-বিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ভারতের পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে দেশটির ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, গরুর প্রতিটি অংশ কতটা উপকারী ও বিজ্ঞানসম্মত, তা নিয়ে চর্চা করতে এবং এই পরীক্ষায় বসতে যেন সব শিক্ষার্থীকে উৎসাহ দেওয়া হয়।

ভারতের কেন্দ্রীয় পশু মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ চালু করে। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়রি) তাদেরই তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই পরীক্ষা। কামধেনু আয়োগের ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যেই পরীক্ষার সিলেবাস জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বেশ কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, ভারতীয় গরুর পিঠের কুঁজে এমন কোনও বিশেষত্ব রয়েছে, যা সূর্যের আলো সংশ্লেষ করে এবং দুধের মধ্যে সোনা তৈরি করে। এ কারণেই নাকি গরুর দুধের রঙ খানিক হলদেটে হয়।

আশ্চর্যজনকভাবে গো-বিজ্ঞান পরীক্ষার সিলেবাসেও দেখা যাচ্ছে এসব কথাই লেখা রয়েছে। শুধু তাই নয়, সিলেবাসে রয়েছে, গোবর পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা কমাতে সাহায্য করে। এ নিয়ে ভারতের পাশাপাশি রাশিয়াতেও গবেষণা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এমনকি, গোবরের কারণেই ভোপালে গ্যাস-বিপর্যয়ের তীব্রতা কম ছিল বলে দাবি করা হয়েছে সিলেবাসটিতে।

জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে গো-বিজ্ঞান পরীক্ষার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। মোট ১৩টি ভাষায় নেওয়া হবে পরীক্ষা। এতে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ সনদও দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের মুখপাত্র পুরীশ কুমার জানান, ইতোমধ্যে ৫ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছেন। ভারতে গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা এবারই প্রথম হচ্ছে। তবে আগামী বছরগুলোতে দেশটিতে গরু এবং পরীক্ষার্থী- উভয়ের সংখ্যাই কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here