আ হ ম ফয়সল :: দরিদ্র মানুষের অর্থনীতিবিদ হিসেবে গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০১৪ লাভ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমান। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি এই সম্মানজনক এওয়ার্ড অর্জন করলেন। তার আগে গত বছর বেসরকারী সংস্থা ডরপ এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান দারিদ্র বিমোচন ও মানবহিতৈষী কাজে অবদান রাখায় এ পুরস্কার লাভ করেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল ২০০২ সাল থেকে বিশ্বের অনন্য যোগ্য ব্যক্তিদের এই এওয়ার্ড প্রদান করে আসছেন।
আগামী ২৬ নভেম্বর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে ড. আতিউর রহমান এ এওয়ার্ড গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া এ বছর অষ্ট্রেলিয়া, চায়না, কংগো, জার্মানি, ভারত, ইরান, ইতালী, জাপান, নেপাল, নেদারল্যান্ড, পোল্যান্ড, সৌদিআরবের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রাখার জন্য গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০১৪ প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল- ফিলিপাইনের ১৯৭৪ রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশে গঠিত একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এটি এশিয়ার মধ্যে প্রধানতম এওয়ার্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। ক্যাপ্টেন গেমিনিয়ান যেবিয়াত গুসি মানবাধিকার রক্ষায় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জাপানের সাথে গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। পরবর্তীতে তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে পরিচিতি লাভ করেন। তার স্ত্রী ম্যাডাম তিয়োদরা সুতেজো গুসি ফিলিপাইন ব্যাপী বঞ্চিত গরীব মা, শিশুদের নিয়ে কাজ করতেন। এ দুইজনের মৃত্যুর পর আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিতি লাভকারী তাদের সন্তান বেরি এস. গুসি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে ২০০২ সাল থেকে গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড প্রবর্তন করেন।
৮টি দেশের ২১ জনের আন্তর্জাতিক কমিটি প্রতি বছর এওয়ার্ড প্রাপক নির্বাচন করেন। প্রতিষ্ঠানটি সুখ ও শান্তির জন্য দৃষ্টান্তমূলক অর্জন, মানবিক উদ্যোগ, পৃথিবী ব্যাপী অনুকরনীয় এমন অসাধারণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শান্তি, মানবাধিকার, দারিদ্র্য বিমোচন, আবিস্কার, রাজনীতি, শিল্প, সাহিত্য, অর্থনীতি, একাডেমী, সাংবাদিকতা, মানবতা, রসায়ন, ধর্ম ক্ষেত্র ইত্যাদি বিষয়ে অবদান রাখার জন্য এই এওয়ার্ড প্রদান করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ৪র্থ বুধবার ফিলিপাইনে এওয়ার্ড প্রদানের দিন আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করে।