যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক মাওবাদীর মৃত্যু হল। রবিবার বিকেলে বেলপাহাড়ির ভুলাভেদা অঞ্চলের মধুপুরের জঙ্গলে এই গুলির লড়াই হয়। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (অপারেশন) অলক রাজোরিয়া বলেন, “প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি, নিহত ব্যক্তি মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য। তবে তিনি যুধিষ্ঠির মাহাতো ওরফে অর্জুন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” কিষেণজির পরে পশ্চিম মেদিনীপুরে এই প্রথম যৌথ বাহিনীর গুলিতে আবার কোনও মাওবাদীর মৃত্যুর হল। নিহতের কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং কিছু নথিপত্র মিলেছে।

পুলিশের দাবি, বাঁকুড়ার বারিকুল লাগোয়া বেলপাহাড়ির ওই এলাকায় এখনও মাওবাদীরা যথেষ্ট সক্রিয়। তাদের একটি স্কোয়াড ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে খবর পেয়ে এ দিন দুপুর থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছিল যৌথ বাহিনী। বিকেলে জঙ্গলের আড়াল থেকে যৌথ বাহিনীকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে মাওবাদীরা। বাহিনীও পাল্টা জবাব দিলে মাওবাদীদের দলটি গভীর জঙ্গলপথ ধরে বাঁকুড়ার দিকে পালিয়ে যায়। সেই সময়ই মাওবাদী দলের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই এলাকায় যৌথ বাহিনী এখনও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মাওবাদী নেতা মদন মাহাতো এবং তাঁর স্ত্রী মাওবাদী নেত্রী জবা মাহাতো আশপাশের এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছেন বলে বাহিনীর অনুমান।

নিহত ব্যক্তি যুধিষ্ঠির বলেই মনে করছে তল্লাশি অভিযানে অংশ নেওয়া যৌথ বাহিনীর একাংশ। পুলিশের তথ্য বলছে, যুধিষ্ঠির মাহাতো মাওবাদী স্কোয়াডে ‘অর্জুন’ নামে পরিচিত ছিলেন। প্রায় সাত বছর তিনি স্কোয়াডে রয়েছেন। যুধিষ্ঠিরের বাড়ি বেলপাহাড়ির ভেলাইডিহা অঞ্চলের মেছুয়া গ্রামে। বছর পাঁচেক আগে রাষ্ট্রদ্রোহ-নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার হন যুধিষ্ঠির। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে ফের মাওবাদী স্কোয়াডে চলে যান। পুলিশ জানিয়েছে, যুধিষ্ঠিরের ভাইঝি শকুন্তলা মাহাতোও দীর্ঘদিন মাওবাদী স্কোয়াডে রয়েছেন।

পুলিশের দাবি, গত শুক্রবারই ওড়িশা লাগোয়া গোপীবল্লভপুরের ঝাউড়ির জঙ্গলে মাওবাদী-যৌথ বাহিনী গুলির লড়াই হয়। কেউ ধরা না-পড়লেও ঘটনাস্থলে থেকে একটি থ্রি নট থ্রি বন্দুক, একটি ডিরেকশনাল মাইন-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় লালগড়ের আমডাঙায় রাস্তায় একটি ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখা রয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর এসেছে। যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here