রানা আহম্মেদ অভি, ইবি প্রতিনিধি ::
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ কোটা ‘পৌষ্য কোটা’ ঘিরে বিভিন্ন দাবি তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি। গুচ্ছভুক্ত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই ভর্তি নেওয়ার দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তাঁরা। 
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের পোষ্য কোটায় ভর্তির বিষয়ে বিশেষ সুযোগ প্রদান করে আসছিল। গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা চালু হওয়ার পরেও ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার ন্যুনতম যোগ্যতার শর্তে ২০২০-২১ শিক্ষবর্ষে পৌষ্যদেরকে ভর্তি করা হয়েছে অথচ ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষবর্ষে পোষ্য কোটায় ভর্তির কোন বিশেষ সুযোগই রাখা হয়নি।
এই দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ জুলাই ৩ ঘন্ট ও ৩১ জুলাই ৪ ঘন্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। এরপরও দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে নতুন করে কঠোর কর্মসূচী প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গুচ্ছের নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেকোন শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন করতে ন্যুনতম ৩০ নম্বর পেতে হবে। কোটাধারীদের জন্য একই শর্ত রাখা হয়েছে৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই তাঁদের ভর্তির দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ.টি.এম এমদাদুল আলম বলেন, ‘গুচ্ছ একটি অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তারা কোটাধারীদের জন্য কোন বিশেষ সুবিধা রাখেনি। আমাদের সন্তানদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের ন্যুনতম যোগ্যতা থাকলেই তাঁদের ভর্তি নিতে হবে। আমাদের এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
এদিকে, পোষ্যদের যোগ্যতা শিথিল করে ভর্তি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক সমিতি। গত ১৮ জুলাই শিক্ষক সমিতির ৮ম সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটা আমাদের এখতিয়ার ভুক্ত না। তাই আমরা গুচ্ছের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠাবো।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here