তিব্বতে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে একজন সাবেক বৌদ্ধ ভিক্ষু নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি এখনও জীবিত রয়েছেন।
এর আগে ১১ জন তিব্বতী চীনের বিভিন্ন জায়গায় একইভাবে আত্মাহুতি দিলেও এই প্রথম ধারণা করা হচ্ছে তিব্বতের ভূখন্ডের মধ্যে কেউ চীনা শাসনের বিরুদ্ধে এভাবে প্রতিবাদ জানালেন।
তিব্বত নিয়ে আন্তর্জাতিক আন্দোলন গোষ্ঠী বলছে ভিক্ষুর নিজের গায়ে অগ্নিসংযোগের এই খবর নির্বাসিত তিব্বতীরা ইন্টারনেটে পোস্ট করেছেন।
তাদের খবরে দাবি করা হয়েছে, তেনজিন ফুনৎসং নামে ৪০ বছর বয়স্ক সাবেক এক বৌদ্ধভিক্ষু তিব্বতের চামদো এলাকায় কার্মা বৌদ্ধমঠের কাছে নিজের গায়ে অগ্নিসংযোগ করেন। চীনা ভাষায় এলাকাটির নাম চাংদু।
তবে ভিক্ষু বেঁচে আছেন এবং এখন হাসপাতালে রয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় সরকার, পুলিশ এবং হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছে এ বিষয়ে তাদের কাছে কোন খবর নেই। খবর : বিবিসি
চীনে তিব্বতীদের গায়ে আগুন লাগানোর একের পর এক যে নজিরবিহীন ঘটনাগুলো ঘটছে, এ খবর যদি নিশ্চিত করা হয়, তাহলে তিব্বতের ভেতরেও যে এধরনের ঘটছে, এটা হবে তার প্রথম প্রমাণ।
চীন এটাকে বৌদ্ধধর্মের বিরুদ্ধাচরণ বলে এর নিন্দা করেছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে নির্বাসিত তিব্বতীরা এতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
তবে তিব্বতীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলো বলছে তিব্বতে চীনা দমননীতি বাড়তে থাকায় নিরুপায় হয়ে তারা এই পথ নিচ্ছেন। তারা বলছে তিব্বতে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে, কোথাও কোথাও বৌদ্ধমঠ বন্ধ রাখা হচ্ছে এবং চামদোসহ বহু এলাকায় ভিক্ষুদের দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য কঠোর শিক্ষা কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক