ডেস্ক রিপোর্ট:: ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সড়কে বেড়েছে যানবাহন। সেই সঙ্গে কোরবানির পশুবাহী গাড়ির প্রবেশ ও বের হওয়ায় রাজধানীর প্রবেশমুখ ও বের হওয়ার সড়কে তৈরি হওয়া জটলায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। যে কারণে বাসগুলো নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। আর ফিরতে না পেরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য যাত্রী জসিমের আল হামরা পরিবহনের বাসের টিকিট ছিল মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার। কিন্তু তার বাস যানজট ঠেলে গাবতলীতে পৌঁছে মধ্যরাতে। এরপর রাত সাড়ে ৩টায় তাদের নিয়ে রওনা হয়ে বুধবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় চন্দ্রা পার হয়। এর মধ্যে চন্দ্রাতেই আটকে ছিলেন দুই ঘণ্টা।
স্বাভাবিক সময়ে এ পথ যেতে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা সময় লাগলেও ঈদযাত্রায় পাঁচ ঘণ্টায় সে পথ পাড়ি দিয়েছেন জসিমসহ বাসের অন্য যাত্রীরা। তাতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা। যানজটের এমন অবস্থা যে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছেন চালক ও হেলপার।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোর ৪টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থেকে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার ঘারিন্দা পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে যোগ হওয়া বৃষ্টি ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
বাসের চালকরা বলেন, ঢাকা থেকে যানজট ঠেলে আসছি। মহাসড়কে চার লেন হলেও এলেঙ্গার যানজট মহাসড়কে গিয়ে ঠেকেছে। খুবই নাজুক অবস্থা।