কাজী মোসাদ্দেক হোসেন, গাজীপুর থেকে

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্রছাড়া ৮ থেকে ১০ বছর বেআইনীভাবে ইটভাটা পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি জমির টপসয়েল বিনষ্ট, কৃষি উৎপাদন ব্যাহত, জীববৈচিত্র্য ও বৃক্ষরাজির ক্ষতি এবং জনস্বাস’্য বিপন্ন করার অপরাধে রোববার গাজীপুর জেলার কোণাবাড়িতে ৪ ইটভাটাকে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত ইটভাটা গুলো হচ্ছে- মেসার্স রমজান ব্রিকস, মেসার্স বিসমিল্ল্লাহ ব্রিক, মেসার্স এটিবি ব্রিকস এবং মেসার্স কামরুল এন্ড কোং।

এসব ইটভাটা থেকে প্রতিবছর আনুমানিক ১.৫ লাখ মেট্রিক টন কার্বন নির্গত হয়ে ৮ থেকে ১০ বছরে মোট ৪৭ লাখ মেট্রিক টন কার্বন নির্গমন ঘটে বায়ু দূষণসহ বায়ু মন্ডলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। যা অবহাওয়ার বিরূপ আচরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনে মারাত্নক প্রভাব ফেলেছে। পরিবেশ অধিদফতরের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের আওতায় অধিদফতরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী সংশ্লিষ্ট ইটভাটার মালিকদের রোববার এ দন্ড প্রদান করে ইটভাটাসমূহ বন্ধ এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত স’াপনা অপসারণের নির্দেশ প্রদান করেন।

পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী ইউনাইটেড নিউজ ২৪.কমকে জানান, সংশ্লিষ্ট ভাটার মালিকরা পরিবেশ আইন এবং পরিবেশ দূষণের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মোটেই সচেতন নন। এনফোর্সমেন্ট বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব ইটভাটা সনাতন পদ্ধতির এবং পরিবেশের জন্য ধবংসাত্মক। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী এবং আইন প্রয়োগের শৈথিল্যের কারণে গাজীপুর জেলার কোণাবাড়িতে এভাবে শতাধিক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। বায়ু দূষণ, কৃষি জমির টপ সয়েল বিনষ্ট এবং জনস্বাস’্য বিপন্ন করে গড়ে তোলা এসব ইটভাটা ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের পরিবেশে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

বর্তমানে পরিবেশ অধিদফতর আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা গড়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করলেও ভাটার মালিকরা তা’ পালন করছেন না। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এসব ইটভাটা অপসারণ না করা হলে পরিবেশ অধিদফতর এসব ইটভাটা উচ্ছেদ করে ওই এলাকাকে দূষণের অভিশাপ থেকে মুক্ত করবে। এসব ইটভাটায় প্রতিবছর ৫০০-৬০০ মেট্রিক টন কয়লা পুড়িয়ে  ৩০ লাখ ইট উৎপাদন করা হতো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here