মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :: খুলনার পাইকগাছায় হাঁস চুরির অভিযোগে দু’শিশুকে গাছের সাথে বেদম প্রহার ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং নির্যাতনকারী দম্পতি সাংবাদিকদের নিকট ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করে দুই শিশুর বাঁধন খুলে দেয়।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, বান্দিকাটি গ্রামের ভাড়াটিয়া হাবিল সরদারের ছেলে ও মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুম্মন সরদার ও গোপালপুর গ্রামের কছিমউদ্দীন মোড়লের মঠবাটী মাদরাসার ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে হাসান ও তাদের সহপাঠী জাহিদুল শুক্রবার দুপুরের দিকে খেলা শেষে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের ভিতর থেকে প্রতিবেশী পুরাইকাটি গ্রামের ব্যবসায়ী ছবেদ আলীর ছেলে শাহিনুর রহমানের একটি হাঁস মেরে ও অপর ৩টি হাঁস ধরে নিয়ে বিক্রি করতে নিয়ে যায়।
পরে টের পেয়ে শাহিনুর রহমান শিশু জুম্মন ও হাসানকে ধরে এনে বসত বাড়ীর আম গাছের সাথে রশি দিয়ে বেধে রেখে মারপিট করে বলে জুম্মনের মা পারভীন বেগম জানিয়েছেন।
সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্তে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে জড়ো হলে তখন দুই শিশুকে তাদের অভিভাবকের নিকট ছেড়ে দেয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শাহিনুর রহমান বলেন, আমি রাগের বশে দুই শিশুকে কিছু সময়ের জন্য গাছের সাথে বেধে রাখি। পরে আমি ভুল বুঝতে পেরে তাদেরকে ছেড়ে দেই।
বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গরুর দড়ি দিয়ে দু’জনকে পায়ে এবং হাতে আমগাছের সঙ্গে বেধে রেখে প্রহর ও নির্যাতন করা শিশু মানবাধিকার লঙ্ঘের সামিল বলে দাবী স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।
মানিকতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিষয় টি আমি শুনেছি এবং তাৎক্ষনিক আমার বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী কে পাঠিয়েছি। এমনকি তাদের সাথে ফোনেও কথা বলেছি।