গাইবান্ধা জেলার ৭ উপজেলার ৩১ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত ২ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৩৪ নম্বর স্মারকে উপসচিব আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে অভিযুক্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন ও ভাতা বন্ধের নিদেশ দেয়া হয়। পত্রে উলেখিত তথ্যে জানা যায়, সমপ্রতি ৭৮ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ভাতা প্রদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্ত ৭৮টির মধ্যে মন্ত্রণালয় ৩৮টি যাচাই-বাছাই করে ৬ জনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায় এবং ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া সনদ দাখিল করে। এছাড়াও যেসব সাপোর্টি দেয়া হয়েছে তাও মন্ত্রণালয়ের নিকট গ্রহণযোগ্য না। মন্ত্রণালয়ের নিকট গ্রহণযোগ্য না। মুক্তিযোদ্ধারা যেসব তথ্য দাখিল করেছে তার অথিকাংশই ভুয়া ও সাজানো বলে উলেখ করা হয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুপারিশ প্রসঙ্গে সাঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জসিম উদ্দিনও পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমান জানান, আসলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তথ্য পাওয়া ও তালিকা প্রণয়ন জটিল একটি প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে সংশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সমাজসেবা অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন জড়িত বলে তারা জানান। তালিকা প্রণলনে এমপিদেরও সুপারিশ লাগে বলে তারা উলেখ করেন। তারা মনে করেন নান কারণে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়ে থাকে যেখানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের তেমন কোনো কিছু করার থাকেনা। যেগুলো তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং যাদের ভুয়া প্রমানিত হয়েছে সেগুলো অধিকাংশই বিগত সরকারের আমলে করা হয়েছে বলে তারা দাবী করেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাদেকুল ইসলাম/গাইবান্ধা