গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা সদরের গাইবান্ধা-তুলসীঘাট সড়কের পাশে কাজী বাড়ি সন্তোলা গ্রাম থেকে গত ১৬ অক্টোবর রাতে উদ্ধারকৃত নিহত তরুণীর (১৮) পরিচয় ৩৫ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে খুনের ঘটনায় সোমবার ২ খুনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার বল্লামঝাড় ইউনিয়ানের দক্ষিণ ধানঘড়া গ্রামের ছকু মিয়ার পুত্র স্বপন মাহমুদ সোহেল ও একই ইউনিয়ানের নারায়ণপুর গ্রামের আমির হোসেনের পুত্র মহা আলম। তবে হত্যাকান্ডের মূল নায়ক নিহত তরুণীর প্রতারক প্রেমিক শহরের শাপলা পাড়ার মিলন মিয়াকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, মিলন মিয়া একই এলাকার গোলাম মোস্তাফার মেয়ে মনিরা আক্তার মিতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ৯ আক্টোবর গোপনে বিয়ের কথা বলে মিতাকে বাড়ী থেকে নিয়ে গিয়ে ভুয়া রেজিষ্টরি করেন। বিয়ের পর পলাশবাড়ী উপজেলা সদরে একটি বাসা ভাড়া করে নিয়ে গোপনে সংসার করে। ঘটনার দিন গাইবান্ধায় নিয়ে আসার কথা বলে একটি অটোবাইকে নিয়ে ওই দুই সহযোগীকে সঙ্গে নেয়। পরে রাতে বল্লমঝড়-তুলসীঘাট নির্জন সড়কে অটোবাইকেই গলাটিপে হত্যা করে এবং ওই সড়কের ব্রিজের নিচে লাশটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেমায়েতুল ইসামের নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ সুপার এ সার্কেল সায়েম প্রধান, গাইবান্ধা সদর থানার এসআই হোসেন আলী অভিযান চালিয়ে ওই দুই খুনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের স্বীকারোত্তিতে ওই নিহত তরুণীর পরিচয় উদ্ধারসহ খুনের ঘটনা ও খুনিদের সম্পর্কে তথ্য জনা যায়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা