সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ::
পটুয়াখালীর গলাচিপায় পৃথক ঘটনায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার দুই শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস, মহিলার গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে মৃত্যু, পানিতে ডুবে একজন এবং ট্রাক চাপায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের আনোয়ার গাজী (৭৫) এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মুশুরিকাঠি নামক স্থানে তরমুজ বোঝাই ট্রাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত অবস্থায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ট্রাক ড্রাইভার শাহেদুর রহমানকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গজালিয়া ইউনিয়নের উত্তর হরিদেবপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ (৪৮) নামের এক ব্যক্তি খালের পানিতে ডুবে মারা যান। তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নিহতের ছেলে মহিবুল্লাহ খালের পানিতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
এ দিকে মীম (১৪) নামের এক শিক্ষার্থী ঘরের আড়ার সাথে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের মানিকচাঁদ গ্রামের নিজাম প্যাদার মেয়ে এবং রতনদী তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
শনিবার বিকেলে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে মাকসুদা বেগম (৫০) গ্যাসের ট্যাবলেট খায়। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাকসুদা রাঙ্গাবালী উপজেলার কাছিয়াবুনিয়া গ্রামের দুধা মৃধার স্ত্রী। এ দিকে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের বড়চত্রা গ্রামের মাহতাব মৃধার ছেলে তাওরিন আহমেদ (২০) পরিবারের সাথে অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
গলাচিপা থানার ওসি ফেরদৌস আলম খান জানান, মীম আক্তার এবং মাকসুদা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বাকি তিনজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।