গর্ভের সন্তানের পরিচয় নিয়ে শঙ্কিত কুমারী কিশোরী  মোনাসিফ ফরাজী সজীব; মাদারীপুর প্রতিনিধি :: শরিফা আক্তার ছদ্মনাম। বয়স ১৪ বছর। এই বয়সে তাকে খেলার সাথীদের ফেলে থাকতে হচ্ছে ঘরের মধ্যে। গর্ভের সন্তানকে একটু একটু করে নিজের মধ্যে বড় করছে ঐ কুমারী কিশোরী। সেই সাথে পরিবারের সবাই অনাগত সন্তানের পরিচয় নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ঐ কিশোরীর মা উপার্জনের জন্য ঢাকাতে থাকে। ছোট ভাইকে নিয়েই গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর পৌর এলাকার ডিসি রোডে ভাড়াবাড়িতে থাকত। কিশোরী শরীফার উপর নজর পরে বাড়ির ভাড়াটিয়া রফিক কাজীর (৫০)। কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একদিন জোর করে ধর্ষণ করে।

ধষণের পর ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। শরীফাও কাউকে বলেনি। একদিন শরীফা টের পায় তার পেটে অন্যের অস্তিত্ব। অন্য একশিশু বাস করছে তার গর্ভে। জানাজানি হয়ে যায় পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশিদের কাছে। পরে কিশোরীর মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে মাদারীপুর অবকাশকালীন দায়রা জজ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা করে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, শিবচর পৌরসভার ডিসি রোড এলাকার মৃত করিমউদ্দিনের ছেলে রফিক কাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকত কিশোরী শরীফার পরিবার। গত ৫ নভেম্বর জোরপুর্বক ধর্ষণ করে এই কিশোরীকে। ধর্ষণের বিষয় কাউকে না জানাতে হুমকি দেয় বলেও জানা গেছে। এই ঘটনায় কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে মাদারীপুর অবকাশকালীন দায়রা জজ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা হয়।

মামলার বাদী সেলিনা বেগম বলেন, আমি আমার চাকুরি নিয়ে বেশির ভাগ সময় বাইরে বাইরে থাকতাম। এ সময় আমার মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে রফিক কাজী জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। এতে আমার মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ছে।

ঐ কিশোরী বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমাদের মামলা তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে। আমার  অনাগত সন্তানের পরিচয় কি হবে? লজ্জায় আমি সমাজে মুখ দেখাতে পাড়ছি না। আমি ওর বিচার চাই।

শিবচর থানাও ওসি আ. সাত্তার জানান,‘এই ঘটনায় আসামী রফিক কাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এখন জেল হাজতে।’

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here