বর্তমান মহাজোট সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল নিয়মে চলছে হত্য, গুপ্তহত্যা ,গুম , অপহরন সহ নানা বিধ অপরাধ। আর তারই ধারাবাহিকতায় গত এক বছরে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার চরমপন্থী, অস্থধারী ও বোমাবাজ সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৫জন রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ ৪৪৮জন নিহত হয়েছেন।

রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৮জন ও বিএনপির ৭জন রয়েছেন। এ সময়ে ক্রস ফায়ারে মারা গেছে ৪১জন সন্ত্রাসী ও বনদস্যু। পাশাপাশি নারী ও শিশু ধর্ষনসহ নির্যাতনের হার ও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনাও সচেতন মহলে হতাশার সৃষ্টি করেছে। বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড। বিভাগের ১০জেলার মধ্যে খুলনা, যশোর ও মেহেরপুরে রাজনৈতিক নেতাকর্মী হত্যাকান্ডের শিকার হন।

এদের মধ্যে যশোর ২২ফেব্রুয়ারী আওয়ামী লীগ নেতা প্রকাশ চন্দ্র, ৪মার্চ বিএনপি নেতা আনোয়ারুল (৪৫), ১৪মার্চ ছাত্রলীগ নেতা রিপন, ১৯এপ্রিল তরুনলীগ নেতা কামরুজ্জামান ওরফে বাঁশি রিপন ও ১৪ডিসেম্বর যশোর থেকে অবহৃত বিএনপি  নেতা নাজমূল ইসলামের মত ১৫ডিসেম্বর গাজীপর থেকে উদ্ধার হয়। এছাড়া মেহেরপুরে ২৩জানুয়ারী আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম (৪৭) ও ২০ফেব্রুয়ারী বিএনপি নেতা সেন্টু মিয়া এবং ১জানুয়ারী খুলনা মহানগরীতে ছাত্রদল নেতা রায়হানুল ইসলাম, ১০ফেব্রুয়ারী খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার যুবলীগ নেতা বেলাল, জুন মাসে শ্রমিকলীগ কর্মী দুপু, ২০অক্টোবর আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১নভেম্বর রাতে মারা যান। ১০নভেম্বর তেরখাদায় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নজরুল ইসলাম (২৬) নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মী এবং যশোরের নওয়াপাড়া বাজারে সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবলীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম খোকন নিহত হন। তাছাড়া ৬ মার্চ খুলনার শিরোমনিতে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় আহত ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দীন মিঠু। পাশাপাশি ১নভেম্বর রাতে ডুমুরিয়ার শরাফপুরে সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলায় আহত হন আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী জাকির হোসেন। বিভাগের ১০জেলায় জানুয়ারী ৩৪জন, ফেব্রুয়ারীতে ৪৬জন, জুলাইয়ে ৩৮জন, আগষ্টে ৩২জন, সেপ্টেম্বর ৪৩জন, অক্টোবরে ৩৫জন, নভেম্বরে ২৮জন ও ডিসেম্বরে ৩২জন নিহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে রয়েছে খুলনা মহানগরীতে ৪১জন। খুলনা জেলায় ৫৮জন, মাগুরায় ১৯জন, কুষ্টিয়ায় ৩৯জন, চুয়াডাঙ্গায় ২৩জন ও মেহেরপুরে ৪২জন। এ সময়ের মধ্যে ক্রস ফায়ারে ৪১জন চরমপন্থী ও বনদস্যু নিহত হয়েছে।

এছাড়া খুলনার ফুলতলায় ব্যবসায়ী আজাদ গাজী, খুলনা মহানগরীতে পুত্রের ছুরিকাঘাতে পিতা, সাতক্ষীরায় কৃষক মোহন যশোর গ্রাম পুলিশ অসিম কুমার, খুলনার তেরখাদায় প্রতিপক্ষের হামলায় ২সহোদরের হত্যাকান্ড বিশেষ উলেখযোগ্য। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী শিশুসহ ১০৫নারী ও শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে।

এদের মধ্যে ৩৮জন নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে। এর পরও শেষ হয়নি খুলনা তথা সারা বাংলাদেশের হত্যাসহ নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।

এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন উদ্গেগ প্রকাশ করেছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শিমুল খান/খুলনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here