ডেস্ক রিপোর্ট ::  চাঁদপুর ২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসফাক আহসান। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে। চাঁদপুরের মতলবকে আরও উন্নত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা, মতলবের মানুষের সেবা করা, মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় উন্নয়নে কাজ করা, নিরীহ মানুষের উপর প্রভাবশালীদের অত্যাচার বন্ধ করা, মাদক নির্মূলসহ তরুণ প্রজন্মের সামনে একটি আধুনিক মতলব উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি।

ভোটের মাঠে অল্পদিনের গণসংযোগে ঈগলের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থনও পেয়েছেন তিনি।

২ জানুয়ারি চাঁদপুর ২ আসনের গজরা ইউনিয়ন – আমুয়াকান্দি, বাড়িকান্দি, গজরা বাজার, এতিম মার্কেট, কলাকান্দা ৯ নং ওয়ার্ড এ পথসভা ও জনসভা করেন তিনি। এ সময় এম ইসফাক আহসান প্রার্থী (সিআইপি)র ঈগল প্রতীকের জনসভা ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থীর বাবা কামরুল আহসান, (সিআইপি), মাওলানা আবু মূসা, ওয়াদুদ সরকার, জি এম ফারুক ও মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদউল্লাহ সরকার।

 

বক্তব্যে ইসফাক আহসান বলেন- মতলব থেকে আমি কিছু নিতে আসিনি, আমি এসেছি মতলববাসীর পাশে থেকে সাধারণ মানুষের জীবন-মান আরও উন্নত করতে” তিনি বলেন- আমি আজীবন এই মতলবের মানুষের সেবা করে যেতে চাই।শুধু পাঁচ বছর না। আমি যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন এই মতলবের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।

এ সময় মতলবের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন- নিরিহ মানুষের উপর আর অত্যাচার হতে দিবো না। মাদকের ব্যবসা হবে না। আপনার সন্তান মাদক নিবে না। নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজ খুঁজে পাবেন না।

প্রতিপক্ষের কর্মীদের দ্বারা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদ করে তিনি বলেন- মতলব ২ এর মা-খালাদের যে ভালোবাসা আমি পাচ্ছি, ৭ তারিখে কেন্দ্রে আপনারা দাড়িয়ে থাকলে কোন অপশক্তি আমাদের বিজয় ঠেকাতে পারবে না।

 

এলাকাবসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, চাঁদপুর-২ মতলব উত্তর ও দক্ষিণ আসনে এখন ভোটকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। বিশেষ করে ঐ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসান নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। অন্য আরও কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঐ আসনে থাকলেও স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার সঙ্গে ঈগলের।

 

দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও সিআইপি এম ইসফাক আহসান। এলাকায় সমাজসেবী হিসেবে সমাধিক পরিচিত আওয়ামী লীগের এই নেতা। ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই স্থানীয়রা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও তার সমর্থনে মাঠে কাজ করতে শুরু করে।

 

প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকেই দুই উপজেলার মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন ইসফাক আহসান। করছেন উঠান বৈঠক, ভোটারদের দিচ্ছেন বিভিন্ন আশ্বাস। সেই সঙ্গে তার আসনের অনুন্নত জায়গাগুলোতে সরকারের উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করছেন তিনি।

 

মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের বাসিন্দা আবু ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমাদের এলাকায় এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের ইসফাক আহসান ব্যাপক জনপ্রিয়। তিনি সবসময় আমাদের এলাকার উন্নয়নে, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে, তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে জোর দিয়েছেন। এবার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে টক্কর দেবে ঈগল।

 

৫ নম্বর দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকির হোসেন বলেন, এলাকায় ঈগলের জোয়ার বইছে। আগামী ৭ জানুয়ারি মানুষ ঈগলের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা চাই, তার নেতৃত্বে স্মার্ট মতলব গড়ে তুলতে।

 

নির্বাচনের প্রচারে এরই মধ্যে ঈগলসহ অন্য প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

 

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ঈগলের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে জানান এম ইসফাক আহসান। তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে এসেছি মতলবের মানুষ যাতে সন্ত্রাস না করে, যুবসমাজ যাতে মাদক সেবন না করে, মানুষের যাতে প্রকৃত উন্নয়ন হয়। এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে তরুণদের কর্মসংস্থান করাও আমার উদ্দেশ্য।

 

তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী সমাবেশে মানুষ যাতে না আসে সে জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়। অথচ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সে পথেই হাঁটছেন। এই ভয়ভীতি দেখিয়ে ঈগলের ভোটারদের আটকে রাখা যাবে না। ভোটারদের অনুরোধ করছি, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবং স্মার্ট মতলব গড়তে ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন।

 

চাঁদপুর-২ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির এমরান হোসেন মিয়া, জাকের পার্টির ওবায়েদ মোল্লা, সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ মনির হোসেন, স্বতন্ত্র এম ইসফাক আহসান এবং জাসদের মোহাম্মদ হাছান আলী শিকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here