দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় জোটের খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ ও জনসভা সফর করার লক্ষ্যে প্রসত্মতি কাজ জোরেশোরে চলছে। মঙ্গলবার থেকে নগরীর ৫থানা এলাকায় ইজি বাইকযোগে মাইকে প্রচারনা চলছে। নির্মাণ হচ্ছে শত শত আকর্ষণীয় তোরণ। টানানো হচ্ছে ব্যানার, প্যানা ব্যানার। হাজার হাজার পোস্টারে ছেয়ে যাচ্ছে নগরী। কত চমৎকার করে নগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপ সাজানো যায়, তারই যেন প্রতিযোগিতা চলছে। থানা, ওয়ার্ড ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। লাখ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে এসব কাজে। আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে নগরী। মাইকিং এর পাশাপাশি লক্ষাধিক হ্যান্ডবিল নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে ভাবে প্রার্থীদের কর্মী বাহিনী ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যায়, রোডমার্চের প্রচারনার ড়্গেত্রে অনেকটা সে নিয়মই যেন অনুসরন করা হচ্ছে। দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিপনী বিতান, অফিস-আদালত সর্বত্র চলছে ছোট ছোট টিমে প্রচারনা ও লিফলেট বিতরন। মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। সর্বত্রই এখন আলোচনার বিষয় একটি- কেমন হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোডমার্চ? কেমন হবে খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠের ঐতিহাসিক জনসভা? খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চের সমন্বয়কারী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং এ জানিয়ে দিয়েছেন ১০ লাখ লোকের জমায়েত ঘটবে কর্মসূচিতে। মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরম্নল ইসলাম মঞ্জু এমপি দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায় গনজোয়ারের সৃষ্টি হবে। সার্কিট হাউজ মাঠের কয়েক কিলোমিটার এলাকা ২৭ নভেম্বর দুপুরের মধ্যেই জনস্রোতের তোড়ে অচল হয়ে যাবে। বহু মানুষ ময়দানের ধারে কাছে পৌছানোর সুযোগ পাবেননা। তাদের জন্য কয়েক কিলোমিটার দুর পর্যনত্ম মাইক টানানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বুধবার থেকে সার্কিট হাউজ ময়দানে মঞ্চ নির্মাণ ও মাঠ প্রসত্মতের কাজ শুরম্ন হয়েছে। সার্কিট হাউজ ভবনের সীমানা প্রাচীরের পাশে কয়েক ফিট সামনে মঞ্চ নির্মাণ করা হবে। সুবিশাল এই মঞ্চের আয়তন দৈর্ঘ্যে ৬০ ফিট, প্রস্থ ৩০ ফিট ও উচ্চতা ৭ ফিট। মঞ্চের চারপাশে দুই সত্মরের নিরাপত্তা বেস্টনী থাকবে। বেস্টনীর প্রানেত্ম টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার ফটো সাংবাদিকদের ছবি তোলার জন্য ২০ ফিট বাই ৮ ফিটের একটি মঞ্চ তৈরি হবে। এছাড়া কয়েকটি টিভি চ্যানেল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করবে। তাদের জন্য পৃথক একটি স্টেজ হবে। এছাড়া ২৫০ জন সাংবাদিকের বসার জন্য টেবিল ও চেয়ার থাকবে। সাংবাদিকদের বসার স্থানটি নিরাপত্তার স্বার্থে মজবুত বেস্টনী দিয়ে ঘিরে দেয়া হবে। এছাড়া ঢাকা থেকে আগত জাতীয় নেতৃবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ও বিভাগের অন্যান্য জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের পাশে এক হাজার চেয়ার রাখা হবে। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কড়্গে বসে মাঠের দায়িত্ব ও কাজ বুঝিয়ে দেন নজরম্নল ইসলাম মঞ্জু এমপি। এ সময় সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক মনিরম্নজ্জামান মনি এবং সাধারন সম্পাদক এস এম শফিকুল আলম মনা সহ সকল উপ পরিষদের আহবায়ক ও সদস্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চ নির্মাণ ও মাঠ প্রসত্মত কমিটির আহবায়ক সেকেন্দার জাফরউলস্নাহ খান সাচ্চু ও সদস্য সচিব মাহবুব কায়সার সার্বিক কর্মকান্ড দেখভাল করছেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শিমুল খান/খুলনা