শহীদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামিননামা গ্রহণ করেছে ঢাকা সিএমএম আদালত।
৫ হাজার টাকা মুচলেকায় মঙ্গলবার ঢাকা মহনগর হাকিম সাহাদাত হোসেন এই জামিননামাগ্রহণ করেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় সাদা রঙের একটি পাজেরা গাড়িতে খালেদা জিয়া ঢাকা সিএমএম আদালত অঙ্গনে আসেন। ১২টা ৪০মিনিটে তিনি আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি অফ হোয়াইড রঙের শাড়ি পরে ছিলেন। আইনজীবীদের আবেদনে তাকে একটি কাঠের চেয়ারে তাকে বসেতে দেওয়া হয়। ওই চেয়ারটি আগে থেকেই তার বসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
মাত্র এক মিনিটের মধ্যে শুনানি শেষে বিচারক জামিননামা দাখিলের অনুমতি দেন। ১২টা ৪৫ মিনিটে খালেদা জিয়া আদালত অঙ্গন ছেড়ে যান।
খালেদা জিয়ার আদালতের আসার আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রুহুল কবির রিজভি, আমানউল্লাহ আমান আদালত কক্ষে উপস্থিত হন। এছাড়া আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত হন সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদোজ্জা বাদল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মোহসিন মিয়া, খোরশেদ আলম, ইকবাল হোসেন, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদনহ প্রায় ৫ শতাধিক আইনজীবী।
উল্লেখ্য, সোমবার সিএমএম আদালতে খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
মামলার অপর ৩ আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়া সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, রাজনৈতিক সচিবের এপিএস (বর্তমানে বিআইডাব্লিউটিএ-এর পরিচালক- নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগ) জিয়াউল ইসলাম ও ঢাকা সটি কর্পোরেশেনের সদ্য বিদায়ী মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান।
হারিছ চৌধুরীকে পলাতক দেখানো হয়েছে। অপর ২ আসামিও হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছে বলে জানা গেছে।
অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, গত বছর ৮ ডিবেম্বর ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) এই মামলায় হাইকোর্ট ৮ সপ্তাহের জন্য জামিন দেন। সে হিসেবে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তার জামিন বহাল আছে।
বিগত তত্ত্বাধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছেলে কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টা পর তাদের গ্রেফতার করে। ৩ সেপ্টম্বর তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এসেছিলেন।
চার্জশিটে বলা হয়- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে জমি কেনার সময় জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়, যার কোনো উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার