ডেস্ক রিপোর্ট : : মিয়ানমারে যতই দিন যাচ্ছে বাড়ছে সহিংসতা। সামরিক বাহিনী হচ্ছে আরও বেপরোয়া। এতে দেশটির অধিকাংশ মানুষই এখন ক্ষুব্ধ। বিশ্ব সম্প্রদায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র নিন্দা জানালেও কোনো কথাই কানে তুলছে না জান্তা সরকার। আন্তর্জাতিক গবেষক-বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিবেশী চীনের প্রভাবেই এত দুঃসাহস দেখাচ্ছে সেনাবাহিনী। সংকট কাটাতে আঞ্চলিক অন্য শক্তিগুলোকেই এগিয়ে আসার তাগিদ।

এ বছর মিয়ানমারে ফেব্রুয়ারির সূর্য ওঠে আলো নিয়ে নয়, সামরিক আঁধারের গ্লানি নিয়ে। প্রায় দুই মাস হতে চলেছে এ অমানিশার। দিন দিন পরিস্থিতি কেবল জটিল থেকে জটিলতরই হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো কথাই কানে তুলছে না মিয়ানমার। সংকট সমাধানে জাতিসংঘে প্রস্তাব উঠলেও চীন তাতে ঠিকই বিরোধিতা করেছে। সামরিক শাসনে থাকা নেইপিদোকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে বেইজিং এ কথা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এ সমস্যা সমাধানে ভারত ও জাপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কথাও বলা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে খবর বেরিয়েছে, ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার পরও ঠিকই চীনের ফ্লাইট গভীর রাতে প্রবেশ করে মিয়ানমারে। গণতন্ত্রপন্থিরা বিক্ষোভের সময় চীনের কারখানাতেও আগুন দিয়েছে, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, অর্থনৈতিক কোনো ক্ষতিসাধন যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর পরিস্থিতি কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এতে দাবি আদায়ে প্রতিনিয়তই মার খাচ্ছেন সাধারণ গণতন্ত্রপন্থিরা।

এক আন্দোলনকারী জানান, আমরা হতাশ। তবুও যত দিন না পরিস্থিতি বদলাচ্ছে লড়াই চালিয়ে যাব। ঠিকই বুঝে গেছি, এই সংগ্রামে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হবে।

বার্মিজ জাতীয় পোশাক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, দেশটির প্রায় ৪০ শতাংশ পোশাক কারখানার মালিক চীনারা। তারা এ নিয়ে কথা এখনো নীরব।

ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারা বলেছেন, তারা বেইজিংয়ের ভূমিকা নিয়ে দিন দিন হতাশ হচ্ছেন। এতে ক্রমেই বাড়ছে চীনবিরোধী বিদ্বেষ। অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

প্রায় দুই মাস হতে চলছে এ বিক্ষোভ। এতে নিহতের সংখ্যা রোজই বাড়ছে। ছাড়িয়েছে আড়াইশ’।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here