অবশেষে কেশবপুরে একের পর এক মানুষ কামড়ানো হনুমানটি সরকারের বন বিভাগের কর্মীদের ট্রাংকুলাইজার গানের আঘাতে মারা গেছে । কেশবপুরে গত ৫ সপ্তাহ ব্যবধানে হনুমানের কামড়ে অন্তত ৪০ জন মারাত্বক জখম হয়।
জানা গেছে, কেশবপুরে বসবাসরত বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের কামড়ে একের পর এক মানুষ আহত হতে থাকায় কেশবপুর শহরে মানুষের মধ্যে হনুমান আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । বিশেষ করে শহরের মধ্যে অবস্থিত স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ছিল বেশী আতঙ্কে। ফলে উপজেলা প্রশাসন আক্রমনকারি হনমানটিকে ধরার জন্য ট্রাংকুলাইজার গান সংগ্রহ করেন । মঙ্গল সকাল থকে বন কর্মীরা আক্রমনকারি হনুমানটিকে ফলো করে দুপুরের দিকে ট্রাংকুলাইজার গান দিয়ে আঘাত করলে একটি পুরুষ হনুমান মারা যায়।
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, বন বিভাগের কর্মীরা ট্রাংকুলাইজার গান দিয়ে আঘাত করার পর হনুমানটির মৃত্যু হয় । উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, হনুমানটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত কিনা তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে ।
উল্লেখ ৫ সপ্তাহের ব্যবধানে কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটি গ্রামের মওলা বক্সের পুত্র মোমরেজ, সাবদিয়া গ্রামের হানু শেখের পুত্র সদর শেখ, হাড়িয়াঘোপ গ্রামের কার্ত্তিক ঘোষের পুত্র কেশবপুর কলেজের ছাত্র সুমন ঘোষ, কেশবপুর শহরের শেখ আব্দুস সাত্তার মিন্টুর পুত্র ইসতিয়াক, কেশবপুর শহরের বিউটি সাইকেল স্টোরের মালিক গাজী বাবুল হোসেন, কলেজ পাড়ার দাউদ হোসেন, তমিজ উদ্দীন, নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, নুরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মূলগ্রাম গ্রামের নূরআলী সরদার, চিনাটোলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম, বিএডিসির স্টোর কিপার খন্দকার মাহাবুর রহমান, প্রকৌশলী দপ্তরের এমএলএসএস আব্দুর রহমান, কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমীর সরকারসহ অন্তত ৪০ জন হনুমানের কামড়ে মারাত্বক জখম হয়। আহতরা কেশবপুর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুস সামাদ জানান, র্যাবিক্স ভাইরাসে আক্তান্ত হওয়ার কারনেই হনুমানটি সকলকে কামড়াচ্ছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/জাহিদ আবেদীন বাবু/কেশবপুর