জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর)

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনক অমিতাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৮৮তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের কেশবপুরের কপোতাক্ষ নদের পাড়ে সাগরদাঁড়ির বিখ্যাত দত্ত বাড়ির আঙ্গিনায় সংষকৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার বিকেলে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সংষকৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন ফিতে কেটে, কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে মধুমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে নতুন নতুন শব্দ সংযোজন করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। মধুকবির স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদ খননে বর্তমান সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে কপোতাক্ষ নদ খননে সরকার ২৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যশোর অঞ্চলের মানুষের আরেকটি প্রাণের দাবি সাগরদাঁড়িতে সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জোরালোভাবে উপস’াপন করবো।

যশোর জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মধুমঞ্চে অনুষ্টিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খান টিপু সুলতান এমপি, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হেদায়েতুল আল মামুন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, সাংবাদিক শ্যামল সরকার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এটিএম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি একরাম-উদ-দৌলা, যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল আলম, যশোর সম্মিলিত সাংষকৃতিক জোটের সভাপতি হারুন অর রশিদ, বাংলালিংকের পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মার্কেটিং শিবলী সাদিক, সাগরদাঁড়ি মাইকেল মধুসুদন ইন্সটিটিউশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর সম্মিলিত সাংষকৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুবকর সিদ্দিকী ও কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব  খান মো. রেজা-উন-নবী। উদ্বোধনী দিনেই হাজারো মানুষের সমাগমে সরব হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন। মধুমঞ্চে মহাকবির জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা এবং সাংষকৃতিক অনুষ্ঠান দেখতেও সমবেত হয় হাজারো মানুষ। মেলার মাঠে বিসিক ও গ্রামীণ পণ্যের প্রায় আট শতাধিক স্টল বসেছে। সেই সঙ্গে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে আয়োজন করা হয়েছে যাত্রা, সার্কাস, পুতুল নাচ আর নাগরদোলার।

প্রতি বছর মধুকবির জন্মদিন ২৫ জানুয়ারি থেকে এ মেলা শুরু হলেও এসএসসি/দাখিল পরীক্ষার কারণে মেলা ৪দিন এগিয়ে ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here