কেশবপুর উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন প্রায় সমাপ্ত হওয়ায় কৃষক সমাজ বর্তমান বোরো ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার কৃষক সমাজ চলতি মৌসুমে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ইরি-বোরো আবাদ করেছে। বিশেষ লক্ষনিয় বিষয় হলো অদম্য কৃষক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেচ পাম্পের সাহায্যে পদ্মবিল, শেখেরবিল, কালকেতলা, সোনাতলা, কাদারবিল, বোওয়ালিরবিল, ঝিকরাবিল, শ্রীপুর-শেখপুরাবিল, পাঁজিয়াবিল, গড়ভাঙ্গার বড়বিল, বিলবলধালিসহ বিভিন্ন জলাবদ্ধ বিলের পানি নিষ্কাশন করে বোরো চাষাবাদ করতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে উপজেলার বিল খুকশিয়ার মেয়াদ উত্তীর্ণ টি আর এম প্রকল্পের কার্টিং পয়েন্টের মুখ বেঁধে দিলে ময়নাপুর, শানতলা, কিসমত শানতলা, কালীচরনপুর, আড়ুয়া, গৃধরনগর, কানাইডাঙ্গা, ডহুরী, কাঁকবাধাল, খুকশিয়া ও মান্দ্রা মৌজার প্রায় ৮শ’৫০ হেক্টর জমিতে বারো আবাদ করা সম্ভব বলে পাউবো’র কর্মকর্তরা স্বীকার করেন । কিন্তু আজ পযন্ত এ কার্টিং পয়েন্টের মুখ বেঁধে দেয়ার কোন উদ্যোগ না নেওয়া ৮শ’৫০ হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে । এ ব্যাপারে ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, টি আর এম প্রকল্পের কার্টিং পয়েন্টের মুখ বেঁধে দেয়ার জন্য স্টিমেট করে হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সমপ্রসারন অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে কেশবপুর উপজেলায় ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১৬ হাজার ২শ’ হেক্টর জমি । গত ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৯শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড প্রায় ৩ হাজার হেক্টর এবং বাকি জমিতে উফশী (উচ্চ ফলনশীল) জাতের ধান আবাদ করেছে । গত বছর প্রায়১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয় । সেই তুলনায় এ বছর প্রায় এক হাজার হেক্টর বেশী জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
বোরো ধানের চারা রোপন প্রায় সমাপ্ত হওয়ায় কৃষক সমাজ বর্তমান বোরো ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার পদ্মবিল, সংলগ্ন বাঁশবাড়িয়া, গোপসেনা, ধর্মপুর ও ভোগতি গ্রাম পরির্দশনে গিয়ে দেখা যায় কৃষান-কৃষানীরা বোরো ধানের ক্ষেত পরিচর্যা করছে। তবে বিলএলাকায় বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ এখন চলছে। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মশিয়ার মোড়ল ৪ বিঘা, নজরুল মোড়ল ০২ বিঘা, জালাল গাজী ০৫ বিঘা, মিজানুর রহমান মোল্যা ০৫ বিঘা জমিতে ১৫ দিন আগে বোরো ধানের চারা রোপন সম্পন্ন করেছেন উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে তারা বোরো ধানের ক্ষেত পরিচর্যা করছে। তারা আরো বলেন,সার, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বোরো আবাদ কিছুটা ব্যহত হয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা কৃষি সমপ্রসারন অফিসার সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, উপজেলার কৃষকরা সেচ পাম্পের সাহায্যে জলাবদ্ধ বিলগুলোর পানি নিষ্কাশন করে বোরো আবাদ করায় গতবারের তুলনায় এবছর বেশী জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে ।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/জাহিদ আবেদীন বাবু/কেশবপুর