কুষ্টিয়ায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত ভাল বইয়ের পরিবর্তে পুরাতন ও নষ্ট বই দেয়ার কারনে শতাধিক স্কুলের শিক্ষকরা বই না নিয়ে ফেরত গেছেন। বুধবার দুপুরে শহরের হাউজিং এষ্টেট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার কিন্ডাগার্টেন স্কুলের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যনত্ম শিক্ষার্থীদের অবশিষ্ঠ কিছু বই দেয়ার পুর্ব নির্ধারিত দিন ছিল। উপজেলার ১০৮টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা বই সংগ্রহের জন্য সেখানে উপস্থিত হন। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন কুষ্টিয়ার সাধারন সম্পাদক আতিয়ুল গনি প্রথম দিকে এসে তাঁর সমিতির ৫৬টি স্কুলের জন্য ভাল বই গুলো নিয়ে নেন। এর পর কুষ্টিয়া কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল তাঁর সমিতির ৫২টি স্কুলের শিক্ষকদের সাথে বই নিতে আসেন। শিক্ষকরা দেখতে পান-স্কুলের মাঠে ছড়ানো ছিটানো বিভিন্ন শ্রেণীর নষ্ট,পোঁকায় খাওয়া নোংরা বই দেয়ার জন্য সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ বেলাল লেবার দিয়ে মাঠে রেখেছেন। সেখানে থাকা ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে বইয়ের সাথে সামান্য কিছু ২০১২ সালের নতুন বই রয়েছে। শিক্ষকরা অধিকাংশ বইয়ের শেষ কভারে ‘বিক্রির জন্য’’ কথাটি লেখা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পুরাতন ও নষ্ট বই কিভাবে বিতরনের জন্য আনা হল এ বিষয়ে ঐ কর্মকর্তা জানান, আমরা বলতে পারবো না। তিনি জানান, সদর উপজেলার জন্য বইয়ের চাহিদা ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮ শতটি। এর বিপরীতে নতুন বই এসেছে মাত্র ৬৯ হাজার ৯৩২ টি। বাকী বই গুলো পুরাতন ষ্টক থেকে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোবাইলে জানান, আমাদের ষ্টকে এ বই গুলো ছিল। কিন্তু ‘বিক্রির জন্য’ লেখা এবং পুরাতন ও নোংরা বই কিভাবে আসলো তা খতিয়ে দেখা হবে। আমি বিষয়টি জানার পর বই বিতরন বন্ধ রাখতে বলেছি। তিনি জানান, পরবর্তিতে ভাল বই এনে তা বিতরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানান এবং বই না নিয়ে চলে যান। এসময় গোডাউনের ভিতরে দেখা গেছে গোডাউনের অধিকাংশ বই নষ্ট ও নোংরা এবং বিভিন্ন বিক্রির জন্য লেখা।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/কাঞ্চন কুমার/কুষ্টিয়া