ডেস্ক রিপোর্ট::  পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে উল্লাসে মেতেছেন পর্যটকরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই সমুদ্রের উন্মাদনাও শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্ণিমার জোয়ারের সঙ্গে খেলা করছে উত্তাল সমুদ্র। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। কেউ সৈকতের বেঞ্চিতে আবার কেউ তালগাছ-নারকেল গাছের ছায়ায় বসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

বুধবার (৫ জুলাই) কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকের আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উত্তাল সমুদ্রে গোসল, হই হুল্লোড়, ঢেউয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আনন্দ উল্লাস ও উন্মাদনায় মেতে ওঠেন নানা বয়সী পর্যটকরা।

উত্তাল সমুদ্র, বিশাল ঢেউয়ের ভয়কে জয় করে সমুদ্রে সাঁতার, ওয়াটার বাইকে ঘুরে বেড়ানো, ঢেউয়ের সঙ্গে গা ভাসিয়ে দিয়ে সৈকতে গড়াগড়ি খাচ্ছেন পর্যটকরা। এমন ছন্দময় সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে অনেকেই সৈকতের ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলছেন, কেউ কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্র ও সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে সৈকতের প্রকৃতি দেখছেন।

আগত পর্যটকদের অনেকেই এর আগে সমুদ্রের এমন রুদ্র রূপ দেখেননি। মৌসুমের শেষে বর্ষার শুরুতে ছুটির দিনে কুয়াকাটায় অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটেছে। হোটেল মোটেল রিসোর্টগুলোতে কম ভাড়ায় রুম পেয়ে খুশি পর্যটকরা। খাবার হোটেল, ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মার্কেট, মিশ্রিপাড়া তাতঁপল্লীতে বেচাকেনায় খুশি পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণে এসেছেন জাহিদুল ইসলাম। তার মতে, সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে এলে বর্ষা মৌসুমে আসতে হবে। বর্ষার সমুদ্র এবং সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ দেখে মুগ্ধ তারা। শীতের সমুদ্র এবং বর্ষার সমুদ্রের রূপে সম্পূর্ণ ভিন্নতা রয়েছে। সমুদ্রের রূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে বর্ষা মৌসুমেই আসা উচিত।

আবাসিক হোটেল সমুদ্র বাড়ির মালিক জহিরুল ইসলাম মিরন জানান, মৌসুমের শেষে অনেক পর্যটকের আগমণ ঘটেছে। তার হোটেলের অধিকাংশ রুমই বুকিং ছিল। তবে শীত মৌসুমের চেয়ে অনেক কম ভাড়ায় রুম বুকিং দিয়েছেন। এতে পর্যটকরাও খুশি বলে জানান তিনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় তারা সার্বক্ষণিক সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। উত্তাল সমুদ্রে গোসল কিংবা সাঁতার কাটতে গিয়ে যেন কোনো পর্যটক দুর্ঘটনায় না পড়েন সেদিকেও খেয়াল রাখছেন তারা। পাশাপাশি দুর্ঘটনা রোধে স্পিড বোট ও ওয়াটার বাইক সব সময় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here