
আব্দুর রউফ হাযদার, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি :: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরের প্রধান বাজারসহ অন্যান্য বাজারে বৃহস্পতিবার ঈদের আমেজের মত উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম ও অন্যান্য বৃহত্তর শহর ফেরৎ কর্মজীবি লোকেরা বাড়ী ফিরে বাজারে আড্ডা দিতে আসায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বাজারে এ রকম জনসমাগম নিয়ে সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করছে। দেশের করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ ঘড়ে থাকার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার সন্ধায় কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরের দোকানগুলেতে তিল ধরণের ঠাঁই ছিল না। গোটা বাজার যেন গ্রাহকে ঠাসা। যেন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই।
এসব গ্রাহক সবাই ঢাকা-চট্রগ্রাম ও অন্যান্য বৃহত্তর শহর ফেরৎ কর্মজীবি মানুষ। এরা দেশের বিভিন্ন ইপিজেড, বেসরকারী ফার্ম, গামেন্টস কর্মী। তাদের প্রতিনিয়তই কর্মক্ষেত্রে বিদেশীদের মুখোমুখি হতে হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব কর্মজীবি মানুষ বাড়ীতে এসে বাজারে আড্ডা দেয়ায় নিবীড় সামাজিক যোগাযোগ সৃস্টি হয়েছে। এতে সচেতন মহল উদ্বিগ্ন হয়েছে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘দিনভর বিভিন্ন বাজারে সচেতনমুলক কর্মকান্ড চালিয়েছি। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হবে।’

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বৃহস্পতিবার প্রায় ১ হাজার মাস্ক, ৫ শ’ হ্যাস্কিসল ও ৫ শ’ গোল্ফস বিতরণ করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট।
চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট জানান- আমার উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাস্ক, হ্যাস্কিসল ও গোল্ফস বিতরণ করছি। তবে বিতরণ কাজের সময় লোকজন জড়ো হওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে। লোকজন যাতে জড়ো হতে না পারে সে জন্য একাই বিতরণ কাজ করছি। এছাড়া লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।