গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্র্ষে সাংবাদিক, পুলিশসহ আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপসহ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশ বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বিকেলে জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। তন্মধ্যে হারুয়া এলাকা থেকে একটি মিছিল রথখলা এলাকায় পৌছা মাত্র পুলিশ বাধা দেয় ও এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর লাঠি সোঠা নিয়ে চড়াও হয় এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। দেড়ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় প্রথমে পুলিশ পিছু হটলেও পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে। এতে করে রথখলা থেকে শহরের পৌর মার্কেট, বড় বাজার ও তেরীপট্টি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এ সময় ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৯ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপসহ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষে ২২ জন পুলিশ ছাড়াও অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে বৈশাখী টিভি ও সকালের খবর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ, যায় যায় দিনের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল মালেক চৌধুরী, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার কামরুজ্জামান উজ্জ্বল ও এ.এস.এম আকাশ নামে চার সাংবাদিক আহত হয়।
পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমীরুজ্জামান ও হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মবিনসহ ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে আমীরুজ্জামান, জহিরুল ইসলাম মবিন, ইব্রাহিম মোল্লা, জামান, সাদ্দাম, মঞ্জুর, নয়ন, মেরাজ, হাবিবুর, তানভীর, নাফিজ, শরীফ ও সোহেল।
এর কিছুক্ষণ পর গাইটাল বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অপর একটি মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের গুলিতে আব্দুস শহিদ (৩৫), রাসেল (২৫) ও আসাদ (২৪) সহ বিএনপির ৩ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। তাদেরকে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেন বলেন, মিছিলকারীরা ভাংচুরসহ উশৃংখল আচরণ করলে পুলিশ বাধা দেয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/রুমন চক্রবর্ত্তী/কিশোরগঞ্জ