আব্দুর রউফ হায়দার, কিশোরগঞ্জ(নীলফমারী)প্রতিনিধি :: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সকল চায়ের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা। এছাড়া বাজারে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে দোকানে দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা টাঙ্গানোর নিদের্শনাও দেয়া হয়েছে। রবিবার করোনা ভাইরাস বিষয়ে জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।
উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু শফি মাহমুদ জানান-উপজেলায় বর্তমানে বিদেশ ফেরত ১০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ নেই। তবে তাদের ১৪ দিন বাড়ীতে থাকার নিদের্শ দেয়া হয়েছে। আমাদের মাঠকর্মীরা প্রতিনিয়ত তাদের খোজখবর রাখছেন। সভায় আগাম সতর্কতা হিসেবে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটিকে সচেতনতা সৃষ্টি ও কোন বিদেশ ফেরত লোক আসার খবর পেলে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চায়ের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। এছাড়া কোন ব্যবসায়ী দ্রব্য সংকট দেখিয়ে যাতে দাম বেশি নিতে না পারে এজন্য দোকানে দোকনে দ্রব্যমূল্যের তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখার নিদের্শনা দেয়া হয়।
সভায় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ শাপলা বেগম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকতা ডাঃ মোঃ আবু শফি মাহমুদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম নূরল আমীন শাহ্, ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ, ইউপি সচিব, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন-করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চায়ের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য দোকানে দোকনে দ্রব্যমূল্যের তালিকা টাঙ্গানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলায় ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।