নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঘরের উপর ন্যূয়ে পড়া ঝাড়ের বাঁশ কাটায় আল ইসলাম (৩৫) নামে একজনকে কুপিয়ে জখম করেছে পাষন্ড প্রতিবেশিরা। মুমুর্ষ আল ইসলাম এখন খুলনার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

আল ইসলাম কালীগঞ্জের বারোবাজার ইউনিয়নের বাদুরগাছা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় শুক্রবার একটি মামলা হলেও এখনো কেও গ্রেফতার হয়নি।

মামলার উদ্বৃতি দিয়ে কালীগঞ্জের সুবর্নসরা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মতিয়ার রহমান জানান, আল ইসলামের বাড়ির উপর প্রতিবেশি সোহেল হোসেনের ঝাড়ের বাঁশ ন্যুয়ে ঘরের ক্ষতি করছিল। বাঁশগুলো কেটে নিতে দীর্ঘদিন ধরে বলা হলেও কাটা হচ্ছিল না।

ফলে গত ১৮ অক্টোবর আল ইসলাম নিজেই ঘরের উপর ঝুলে থাকা তিনটি বাঁশ কেটে দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আল ইসলাম বাড়ির মধ্যে অনধিকার প্রবেশ ও গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামী সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে সোহেল, হবিবর শেখের ছেলে মস্ত ও তার স্ত্রী শান্তা খাতুন, হবিবর শেখের স্ত্রী আনু খাতুন ও মেয়ে শিলিফা খাতুন দলবদ্ধ হয়ে আল ইসলামের উপর হামলা করে। এসময় স্বামীকে ঠেকাতে গিয়ে তার স্ত্রী নাজনীন নাহার শিলার শ্লিলতাহানী ঘটনায়।

আল ইসলামেক তারা কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

আহত আল ইসলামের শ্যালক শিলন জানান, প্রথমে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর আড়াইশ বেডে ভর্তি করা হয়। সেখানেও ভর্তির পর আল ইসলামের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাকে দ্রæত যশোর থেকে খুলনার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, এ ঘটনায় গত শুক্রবার থানায় একটি মামলা হয়েছে, যার নং ১৪। আসামীরা পলাতক থাকায় মোবাইল ট্রাকিং করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here