কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে গতকাল শনিবার সকালে দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের তালবাড়ীয়া গ্রামের আলী ইসলাম কালিদাসপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলী ইসলাম বলেন, গত সোমবার বিকেলে উক্ত এলাকার আফতার গাইনের ছেলে নারী পাচারকারী চক্রের হোতা ইনা ইসলাম গংরা আমার মেয়ে মেঘলা খাতুন (১২) কে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আমার মেয়ে মেঘলা খাতুনের আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমি ইনা ইসলামকে আসামী করে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা দায়ের করার পর দৌলতপুর থানা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মিজানুর রহমানকে সংশ্লিষ্ট মামলার আসামীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আসামী প্রকাশ্যে কালিদাশপুর বাজারে ঘোরাঘুরি করলে আমি ক্যাম্প ইনচার্জকে আসামী শফিউল ইসলামকে গ্রেফতার করার কথা বললে সে আমার কথার কর্নপাত করে নাই বরং আমাকে গালিগালাজ করে এবং আসামী কে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। আলী ইসলাম আরো বলেন, ক্যাম্প ইনচার্জ বলেন, ইনার কাছে ১১ টি মোবাইলের সিম রয়েছে তার মধ্যে ৩ টি সিম সবসময় চালু থাকে। আমি ও এলাকাবাসী মনে করি ক্যাম্প ইনচার্জ এর সাথে উক্ত চক্রের গোপন যোগসূত্র রয়েছে। তা নাহলে আসামী ইনা,তার পিতা ও চাচাকে না ধরে কিভাবে বহাল তবিয়তে রয়েছে এটাই আমার বোধগম্য নহে। মামলা করার পর থেকেই ইনা গংরা আমাকে ও আমার পরিবার কে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে আমি জীবনের চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। বর্তমানে আমার মেয়ের এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আবেদন অবিলম্বে আমার মেয়েকে উদ্ধার ও দোষী ব্যাক্তিদের শাস্তির দাবী জানাই। সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া থেকে