জামায়াত নেতা মাওলানা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল৷ প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে হত্যা-ধর্ষণসহ ৯ ধরণের অভিযোগ এনেছে৷ তবে তার আইনজীবী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আলবদর কমান্ডার হিসেবে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহ এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ এবং অগ্নিসংযোগে নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ তিনি নিজে উপস্থিত থেকেও সরাসরি এসব মানবতা বিরোধী অপরাধ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তাছাড়া তিনি স্বাধীনতা বিরোধী আলবদরের সংগঠক এবং বাংলাদেশে গণহত্যার ষড়যন্ত্র ‘অপরেশন সার্চ লাইটের’ পরিকল্পনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ ট্রাইবুনালে এসংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন, নথি ও তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের পর আদালত তা পর্যবেক্ষণ করে অভিযোগ আমলে নেন৷ প্রসিকউটর একেএম সাইফুল ইসলাম জানান, আগামী ২৯ শে ফেব্রুয়ারি কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে৷ তার আগে রোববারের মধ্যে প্রসিকিউশনকে সব তথ্য প্রমাণ দাখিল করতে হবে৷

কামারুজ্জামানের আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য নয়৷ তিনি তখন ছাত্র ছিলেন৷ এবং রাজনৈতিক কারণে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন৷ কিন্তু কোন ধরণের মানবতা বিরোধী অপরাধ তিনি করেননি৷

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গতবছরের নভেম্বরে ৩২৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়৷ এরপর ১১ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করলে তা সুবিন্যাস্ত নয় বলে প্রসিকিউশনকে ফিরিয়ে দেয় ট্রাইবুনাল৷ মঙ্গলবার ফের দাখিল করা আনু্ষ্ঠানিক অভিযোগ সুবিন্যাস্ত হওয়ায় আদালত তা গ্রহণ করলেন৷ এদিকে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ রোববার পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে৷ একজন সাক্ষী অসুস্থ হয়ে পড়ায় আদালত এ সিদ্ধান্ত দেন৷

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here