বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) বিএনপিতে যোগদানের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া যদি ১৫ আগস্ট তার জন্মদিনের কেক না কাটেন এবং জামায়াতে ইসলামীকে যদি বিএনপির সঙ্গে না রাখেন, তা হলে আমরা নাচতে নাচতে বিএনপিতে যোগ দেবো।’
গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে স্থানীয় শহীদ মিনারে কাদেরিয়া বাহিনী আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, যে আওয়ামী লীগের মধ্য দিয়ে আমার জন্ম সেই আওয়ামী লীগই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাতে করে আমরা আর কোন দিন এই টাঙ্গাইলের বুকে ১১ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস পালন করতে না পারি। তিনি বলেন, ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত হয়েছিল ঠিকিই, কিন্তু এখনও হানাদারদের প্রেতাত্বা টাঙ্গাইলের উপর ভর করে আছে। তিনি বলেন, এটাই আমার জীবনের শেষ হানাদার মুক্ত দিবসে দেয়া ভাষন। আমি আর কখনও এখানে ভাষন দিবনা।
তিনি তাঁর ভাই পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি কাদের সিদ্দিকী এবং আমার মতো মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ না করলে দেশ আর স্বাধীন হতো না।
দেশ স্বাধীন না হলে আপনার মতো ব্যক্তিরা (লতিফ সিদ্দিকী) আর মন্ত্রীও হতো পারতো না। আজ সে কৃতজ্ঞতার কথা আপনারা ভুলে গেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তুমি আমাকে বেশি কিছু করতে পারবে না। বড়জোর মেরে ফেলতে পারবে। এছাড়া আরকিছূ করতে পারবে না। তোমরা যত কিছুই বল না কেন, বঙ্গবন্ধু থেকে আমাকে কখনোও আলাদা করতে পারবে না।
হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সবুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (বীর প্রতীক), অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, ইকবাল সিদ্দিকী, আব্দুল কাদের মিয়া, এডভোকেট গোলাম মোস্তফা, মোতাহের আলী, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর গফুর আরজু, হাসান আলী প্রমুখ। সভায় বক্তারা কিছুদিন আগে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে যুদ্ধাপরাধী বলার জন্য সখীপুরের শওকত মোমেন শাজাহান এমপি’র তীব্র সমালোচনা করেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহরিয়ার সিফাত/টাঙ্গাইল