কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজার থেকে কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী সড়কের শমশেরনগর বিমান বাহিনী এলাকার রেলগেট সংলগ্ন ডাইভারসনটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নদী ও জলাশয়ের উপর ডাইভারসন তৈরীর পর থেকে একাধিকবার মাটি দেবে ভারী যানবাহন আটকা পড়লেও বর্তমানে ডাইভারসন সেতুর নিচে থাকা কাঠ ভেঙ্গে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়া কাঠের উপরে ষ্টিলের পাত এবং এর উপর দিয়েই সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ ডাইভারসন সেতুটি ভেঙ্গে যেকোন মুহুূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন যানবাহন চালক ও স’ানীয় সচেতন মহল।
জানা যায়, বিগত বছরের ৩০ মার্চ শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কের বিমান বাহিনী এলাকার রেল গেট সংলগ্ন দেওছড়া নদীর উপর বৃটিশ আমলে নির্মিতব্য কালভার্ট ব্রিজটি ভেঙ্গে ‘উষা দেবী সেতু’ নামে নতুন কালভার্ট সেতু নির্মানে কাজের উদ্বোধন করেন চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি। বিগত ৩০ মার্চ চিফ হুইপ আনুষ্ঠানিকভাবে কাজের উদ্বোধন করলেও এর আরো মাস খানেক পূর্ব থেকেই পুরনো সেতু ভেঙ্গে নতুন ডাইভারসন দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। দেওছড়া নদীর জলাশয়ের উপর ডাইভারসনটি থাকায় বিভিন্ন সময়ে মাটি দেবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সময়ে ডাইভারসন সেতুর ষ্টিলের পাতের নিচে থাকা কাঠের টুকরো সমূহ ভেঙ্গে পড়ে সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট, বড় ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে। স’ানীয়রা জানান, এই সেতুর উপরে বড় বড় গাড়ী উঠার পর ষ্টিলের পাত ফাঁকা হয়ে যায়।
যে কোন সময়ে সেতু ভেঙ্গে প্রাণহানী ঘটতে পারে। লাইটেস চালক বিজয়, সিএনজি চালক শিমুল, মোশাহিদ আলী ও শামছু মিয়া জানান, এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ সেুতর উপর দিয়ে তারা চলাচল করছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই সেতু ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও ফের সেতু মেরামতে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। তারা আরও বলেন, ভারী যানবাহন চলাচলের সময় মাটি দেবে যায় এবং অনেক সময় গাড়ী আটকা পড়লে মালামাল আনলোড করে বালু ও পাথর দিয়ে গাড়ী উদ্ধার করতে হয়। তাছাড়া সেতু নির্মাণের নিম্নমানের কাজও চলছে এক বছর যাবত খুবই ধীর গতিতে। ঠিকাদার মিছবাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লোকবল সংকটের কারনে ডাইভারসন মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে কিছু সময় লেগেছে। তবে চলিত জুন মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে দ্রুত কাজ চলছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে সেতুর নিচের কাঠ ভেঙ্গে গেলেও যানবাহন চলাচলে কোন অসুবিধা নেই বলে তিনি মন-ব্য করেন।
সজল দেব,মৌলভীবাজার