কলারোয়া : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ১৮ দলীয় জোট আহূত ৬০ ঘন্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নজিরবিহিনভাবে পালিত হয়েছে।
উপজেলা সকল স্থানে কঠোরভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। পৌর শহরের দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ বন্ধ ছিলো।
যন্ত্রচালিত যানবাহন দেখা যায়নি বললেই চলে। তবে স্বল্প পরিমাণ ইঞ্জিনভ্যান চলাচল করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্র্মী-সমর্থকরা কলারোয়া পৌর শহরে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে জমায়েত হতে থাকে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হরতালের সমর্থনে বিএনপি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের বাসভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজার প্রদক্ষিণ শেষে সাবেক এমপি হাবিবের বাসভবনের সামনে যশোর সাতড়্গীরা মহাসড়কের ওপর সমাবেশ করে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বজলুল করিম, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ রইছ উদ্দীন, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আখলাকুর রহমান শেলি, সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ তামিম আজাদ মেরিন, পৌর সাংগঠনিক গোলাম রসুল, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আবু বকর ছিদ্দীক, মাহফুজুর রহমান সাবু, শ্রমিকদল নেতা আজহারম্নল হাসান, অহিদুজ্জামান, কৃষকদল নেতা ইয়াছিন আলি, কামরুল, যুবদল নেতা লাকী, রনজু, পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বাকী বিল্যাহ শাহী, মাস্টার মনিরুজ্জামান, আজারুল, প্রভাষক আ: সালাম দিলু, বাস্তুহারা দলের আলম, জিয়া, মৎস্যজীবীদল নেতা আ: কাদের খান, নজরম্নল, মোশারফ মেম্বার, সদ্য কারামুক্ত ছাত্রদল সভাপতি তাওফিকুর রহমান সনজু, শেখ ফরহাদ হোসেন তপু, মোজাফ্ফর, আলমগীর, মামুন আলিসহ বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি/সম্পাদক মন্ডলী।
এরআগে বেলা ১১টায় জামায়াত-শিবির পৌর শহরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা কলারোয়া জামায়াত অফিসের সামনে ও চৌরাস্তা মোড়ে দুটি সমাবেশ করে। স
মাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলাম মুকুল, আলহাজ্ব ঈমান আলী শেখ, মাও. ওমর আলি, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাও. ওসমান গণি, সেক্রেটারী একেএম ফজলুল হক, অধ্যাপক রিজাউল ইসলাম, অধ্যক্ষ আশফাকুর রহমান বিপু, ইউপি চেয়াম্যান শওকত আলি, মাও.কামরম্নজ্জামান, উপাধ্যক্ষ মাও. আহম্মদ আলী, শিবির নেতা ইয়াছিন আরাফাত, আবু সাঈদ, মফিজুল ইসলাম প্রমুখ। শহরের গুরুত্ব সকল স্থানে পুলিশ মোতায়েন ছিলো।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলো।
কামরুল হাসান/