মোঃ আরিফ হোসেন :: বেসরকারি সংস্থা কোস্ট টাস্ট -এর নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সামাজিক উদ্যোগ কথাটির মানে হলো- প্রতিটি নাগরিক তাঁর সাধ্যানুযায়ী কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করবে, যা সরকারের গৃহীত উদ্যোগগুলোকে সহযোগিতা করবে। এই ধরনের উদ্যোগের জন্য বাইরের কারো সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের এ জাতীয় সামাজিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
আজ বুধবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় রেজাউল করিম চৌধুরী আরো উল্লেখ করে বলেন, গত পরশু দুটি পত্রিকায় আমি দুটি খবর পডেছি। একটি খবর ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আনাদবাগ নামে একটি গ্রামের। গ্রামবাসীরা গ্রামের প্রতিটি প্রবেশ পথে নিজেরা পাহারা বসিয়েছেন, গ্রামে কেউ ঢুকতে চাইলে তাঁকে জীবানুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করে এবং স্যানিটাইজার দিয়ে আগন্তুককে হাত পরিষ্কার করতে বলে। তারা সমস্ত গ্রামবাসীর মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রামবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আর একটি খবর লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ এলাকার, আমি কিছুদিন সেখানে কাজ করেছি। একজন গর্ভবতী মা তার তৃতীয়ে সন্তানের জন্মদানের অপারেশন করতে চন্দ্রগঞ্জে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে কোনও ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন না। তারা লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ গাফফারের কাছে এই দুর্দশার কথা জানান। ডাঃ গাফফার লক্ষ্মীপুর সেই রোগীকে শহরে ডেকে না এনে বরং নিজেই জেলা শহর থেকে চানগরগঞ্জ যাওয়াার সিদ্ধান্ত নেন, এবং তিনি সফলভাবে সেই সার্জারি করেন।
তিনি আরো বলেন, এ দুইটি ঘটনা থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে। আমরা আমাদের গ্রামবাসীদের সকলকেই আনন্দবাগের মতো হওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। আমাদের সকল ডাক্তারকে জনাব গাফফারের মতো হওয়া উচিত। বাংলাদেশী হিসেবে আমরা এধরণের সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণের প্রচুর উদাহরণ পেয়েছি, যে কোনও সঙ্কট মোকাবেলায় এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের সামাজিক শক্তি।
রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, আমরা রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর, এবং উপকূলীয় মানুষ ৭১, ৯১ ও ৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ দেখেছি। আসুন, আমরা আমাদের সামাজিক উদ্যোগগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করি।