মাসুদুর রহমান :: বর্তমান বিশ্বের এক ভয়াবহ নাম করোনা। নভেল করোনা বা কোভিড-১৯ সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। অনেক উন্নতে দেশগুলোতেও সামাল দিতে পারতেছে না এই মরনব্যাধি করোনাকে। ৩০-৩২ দিন আগে ইতালি এ ভাইরাসকে গুরুত্ব না দেয়ায় আজকে তার ভূলের মাশুল গুনতে হচ্ছে। বাদ যায়নি স্পেন, আমেরিকা, বেলজিয়াম সহ আরো উন্নত সব দেশ। সেখানে আমাদের বাংলাদেশ ঘনবসতির দেশ। বলা চলে আমাদের দেশের মানুষ সচেতনতার অভাব রয়েছে। আজকে যেমন ইতালির মত উন্নত চিকিৎসার দেশ নিরুপায়, সেখানে আমাদের দেশের পরিস্থিতি কি হবে?।
.
যেখানে আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের প্রথম ২৯ দিনে আক্রান্ত ছিলো ১৫। স্পেন ছিল ০২ এবং ইতালি ০৩। এই চিত্র দেখলে হয়তো মনে হবে এ আর তেমন কি? কিন্তু পরের ১৮ দিনের চিত্র দেখলে চোখ কপালে উঠে যাবে।
পরের ১৮ দিনে
আমেরিকা = ৩,১২,২৩৭ জন
স্পেন = ১,২৪,৭৩৬ জন
ইতালি = ১,২৪,৬৩২ জন।
.
এই চিত্রের সমীকরনের সাথে যদি আমাদের বাংলাদেশের তুলনা করা হয় তখন কি হতে পারে? প্রথম ২৯ দিনে বাংলাদেশের আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ জন!
.
আমরা যদি এখন উপরের চিত্র লক্ষ করি তাহলে আমাদের দেশের অবস্থা কি হতে পারে? কি হবে পরবর্তী ১৮ দিনের মাথায়? কতটা ভয়াবহ হতে পারে নোভেল করোনা, তা ভাবতেই গা শিউরে উঠে। তা ভাবতে চাই না।
.
আমরা চাইলে রক্ষা করতে পারবো সমগ্র ক্ষতির হাত হতে, ক্ষতির এই পরিমান কমিয়ে আনতে পারি। আমাদের এই সোনার বাংলাদেশকে দিতে পারি নতুন এক সম্ভাবনা । প্রয়োজন শুধু সচেতনতা, সাবধানতা ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা।
.
আমাদের দেশটাতে যেন মৃত্যুর মিছিল না হয়। তাই আমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে, সবাই সবার জায়গা থেকে একটু সচেতন হলেই কেবল রক্ষা করতে পারবো আমাদের দেশটাকে। আপনি চাইলেই সম্ভব, বাচাঁতে পারেন আপনার পরিবার, আপনার সমাজ, আপনার দেশ।
.
তাই আমরা সবাই নিয়মিত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবো হাত, ব্যাবহার করবো হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্যাবহার করবো মাস্ক। নিরাপদ দূরুত্বে থাকবো, গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া বাহিরে যাবো না। নিজের ঘরেই অবস্থান করবো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সকল নিয়ম মেনে চলবো। তাহলেই আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ ভাল থাকবে। ভাল থাকবো আমরা সবাই। ভাল থাকুক বাংলাদেশ। সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে প্রিয় মাতৃভূমি।
.
.
.
লেখক: শিক্ষার্থী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।