ডেস্ক নিউজ :: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বের অন্তত ৩৪টি দেশে ইতোমধ্যে তিন হাজারের অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত অবস্থায় আছেন লক্ষাধিক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৪৪ হাজার রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৮১ শতাংশের শরীরে হালকা লক্ষণ দেখা দেয়। ১৪ শতাংশের শরীরের লক্ষণ দেখা দেয় এর চেয়ে মাঝারি আকারে। অন্যদিকে মাত্র ৫ শতাংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১ থেকে ২ শতাংশ মানুষ মারা যায়। যদিও এই হার বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, হাজার হাজার মানুষ এখনো চিকিৎসাধীন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মারা যেতে পারেন। তাই মৃতের হার আরও বাড়তে পারে। আবার কত মানুষের শরীরী হালকা লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। সেগুলো বিবেচনায় নিলে মৃতের হার আরও কমতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে প্রতিবছর ১০০ কোটির মতো মানুষ ভাইরাসজনিত ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯০ হাজার থেকে সাড়ে ৬ লাখ পর্যন্ত মানুষ মারা যান। প্রতিবছরই এসব ভাইরাসের ভয়াবহতার মাত্রা পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
আক্রান্ত হলে কীভাবে বুঝবেন
করোনাভাইরাস মূলত ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত জ্বরের সঙ্গে শুকনা কাশি দিয়ে শুরু হয়। জ্বর ও কাশির এক সপ্তাহের মাথায় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু বা রুমাল দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে ফেলতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরপরই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে, পারতপক্ষে নাক, মুখ ও চোখে হাতের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, এতে এ ধরনের ভাইরাস হাত থেকে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। হাঁচি-কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।