স্টাফ রিপোর্টার :: কোভিড ১৯ প্রেক্ষিতে চরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, দুর্গম চরাঞ্চলে করোনা টেস্টিং বুথ তৈরি, দুর্গম চরে খাদ্যসংকট মেটাতে খাদ্যসহায়তা প্রদান, চরের কৃষক ও কৃষাণী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিনাসুদে কৃষিঋণ সহায়তা প্রদান, চরে উৎপাদিত সকল কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে সরকারের সহায়তা নিশ্চিত করা, চরের মৌসুমী শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, চরের উইমেন হেডেড হাউজহোল্ডের জন্য ত্রাণ প্রদান, চরের বয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য নিয়মিত ভাতা ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা এবং চরের ক্ষুদে কৃষক ও উদ্যোক্তাদেও জন্য বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের দারি করে বিবৃতি দিয়েছে চরের মানুষের উন্নয়নে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কর্মরত জোট ‘ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সে’ (এনসিএ)।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলা হয়, বহু নদ-নদী বেষ্টিত বাংলাদেশের চরভূমিতে সবমিলিয়ে প্রায় এক কোটি মানুষের বসবাস। দেশের মোট জনসংখ্যার ৭ ভাগ চরবাসী। মোট ভূমির প্রায় ১০ শতাংশেরও চরভূমি বলে প্রতীয়মান। দেশের প্রায় ৪০টি জেলার শতাধিক উপজেলার অংশবিশেষে চরসমূহ বিস্তৃত। ভৌগোলিক বিচার-বিশ্লেষণে চরাঞ্চল বাংলাদেশের উচ্চমাত্রার দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। তীব্র নদী ভাঙ্গন, বন্যা, খরাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বেকারত্ব এসব মোকাবিলা করেই বছরের পর বছর প্রায় চরের মানুষ তাদের বাঁচার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়। চরের হতদরিদ্ররা মানুষেরা প্রায় সারাবছর ধরেই এক ধরনের খাদ্যসংকটে ভূগে থাকে। ফলে অনেক দুর্গম চরের বাসিন্দাদের দুবেলা খেয়ে জীবনধারণ করতে হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরকম পরিস্থিতিতে আবার বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান দুর্যোাগে চরের হতদরিদ্র মানুষেরা নতুন করে বড় এক বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। এই বিপদে চরের হতদরিদ্র মানুষগুলোকে আবার নতুন করে খাদ্যসংকটে পড়তে হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্গম দ্বীপচরের (চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম) মানুষের অনেকেই অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। অনেক চরেই এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের খাদ্যসহায়তা পৌছায়নি। এই প্রেক্ষিতে চরের হতদরদ্রি মানুষের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here