মোঃ শাহীন :: বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন  দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব এখনও কমেনি। আক্রান্তের সংখ্যা  বৃদ্ধির সাথে সাথে দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ৩১ মে থেকে সবকিছু সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হবে। বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমের থেকে জানা যায় ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবকিছু সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
.
যেহেতু সবকিছু খুলে দেয়া হচ্ছে তাই এই সময় কিছুটা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তা নাহলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। যেহেতু অফিস আদালত থেকে শুরু করে সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে তাই এই সময়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সময় বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও অন্যান্য গন পরিবহনে অধিক যাত্রী পরিবহনের ফলে বৃদ্ধি পেতে পারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। তাই  এসকল পরিস্থিতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে কিছু বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
.
করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে কতো গুলো বিষয় সতর্ক থাকা জরুরি। আসুন জেনে নেই কি কি বিষয় সতর্ক থাকলে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। বিষয় গুলো হলো –
.
১) গন পরিবহনে চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করা যাতে নিজের পোশাক, চুল ও অন্যান্য ব্যবহৃত জিনিস অন্য কারও সংস্পর্শে না আসে।
.
২) নিজের কর্ম ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা যাতে অন্য কেউ যাতে নিজের সংস্পর্শে না আসে।
.
৩) রাস্তার ধারে বিক্রি হচ্ছে এমন কোন জিনিস পত্র না কেনা।কারণ এগুলো থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই যতটা সম্ভব রাস্তায় থেকে জিনিস পত্র কেনা এড়িয়ে চলতে হবে।
.
৪) আক্রান্ত ব্যক্তি যাতে কোন অবস্থায় সুস্থ্য ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসে সে বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা।
.
৫) হাঁচি কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা ও ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা।
.
৬) বাহিরে যাতায়াতের সময় মাস্ক ব্যবহার করা। বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তির অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এতে করে সুস্থ্য মানুষ গুলো রক্ষা পেতে পারে ।
.
৭) জনাকীর্ণ এলাকায় সাবধানে চলাচল করতে হবে। কারণ এসব এলাকা থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
.
৮) লঞ্চ, বাস ও ট্রেনে চলাচলের সময় অন্যের দেয়া কোন খাবার ও জিনিস পত্র স্পর্শ না করা ও না খাওয়া।
.
৯) দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে হবে। একজন যাতে আরেক জনের সংস্পর্শে না আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
.
১০) মোবাইল জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করুন এবং অন্যের মোবাইল স্পর্শ না করাই উত্তম।
.
১১) প্রতি ঘন্টায় অন্ত:ত একবার সাবান/স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করুন।
.
১২) সর্বোপরি নিজেকে সতর্ক রাখতে হবে ও অন্যকে সচেতন করতে হবে।
.
.
.
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here