শমশেরনগরে ৩ কোটি টাকার ইউএস ডলারের চালান নিয়ে চলছে তোলপাড়। অভিযোগ রয়েছে ৩ কোটি টাকার ডলারের মধ্যে অর্ধেক ডলার ছিল জাল এমন গুঞ্জনে বিষয়টি তদনেত্ম মাঠে নেমেছে র্যাব,পুলিশ ও একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী শমশেরনগরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলারের রমরমা ব্যবস্থা। ডলার ব্যবসার মাধ্যমে শমশেনগরের অনেকেই হয়েছেন লাখপতি। এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে,শমশেরনগরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন গত ১৮ জানুয়ারী থেকে ২৫ জানুয়ারী ময়মনসিংহের বালুঘাটা এলাকা থেকে ৪৪ বান্ডিলের ৩ কোটি টাকার ইউএস ডলার কমলগঞ্জের শমশেরনগর নিয়ে আসেন। তিন কিস্তিতে আনা ৪৪ বান্ডিলের ৩ কোটি ওই ডলারের মধ্যে অর্ধেক ডলার জাল ছিল বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। ময়মনসিংহের বালুঘাটা এলাকা থেকে ডলার গুলো আনতে প্রথমে মনোয়ার হোসেন তার নিজস্ব মাইক্রোকার (ঢাকা মেট্রো-চ-৫১২৮৮৫) যোগে গত ১৪ জানুয়ারী ময়মনসিয়হের বালুঘাটা যান। তার সাথে ছিলেন সুমন ও আলালসহ আর দুজন এমন তথ্য বুধবার জানায় মাইক্রো চালক সোহেল। সে জানায় বালুঘাটা যাওয়ার পর তারা গাড়ি থেকে নেমে চলে যান। প্রায় ২ ঘন্টা পর ফিরে আসার পর তারা রাত্রিযাপন করেন ময়মনসিংহের পুরান বাজারের নুর রেষ্ট হাউসে। গাড়িতে চালকসহ হেলপার ঘুমিয়ে পড়েন।
পরদিন সকালে শমশেরনগরের উদ্দেশ্যে তারা ফিরে আসেন। স্থানীয়রা জানান,এ চালান লেনদেনে জড়িত রয়েছেন শমশেরনগরের প্রতিষ্ঠিত বেশক’জন ব্যবসায়ী। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল রয়েছে আন্ডারগ্রাউন্ডে। বালুঘাটা থেকে আনা আসল ও নকল ডলারের ৪৪ বান্ডিলের ৩ কোটি টাকার ডলারের সর্বশেষ চালান আসে গত ২৫ জানুয়ারী।
সর্বশেষ চালান আসার পর পরই ওই সিন্ডিকেট চক্রের মধ্যে ব্যবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দন্দ্ব দেখা দিলে বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। গত দেড় সাপ্তাহ ধরে এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। এক কান দু’কান থেকে বিষয়টি পৌছে যায় পুলিশ,র্যবি ও গোয়েন্দাদের কানে। এর পরই তদন্তে নামে র্যাব, পুলিশ এর পাশাপাশি অপর একটি গোয়েন্দা সংস্থা। গত তিন দিন ধরে তারা তদন্ত করছেন এ বিষয়টি। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আয়মুছ আলী বুধবার দুপুরে বলেন,সবার মুখে মুখেই ছড়িয়ে পড়েছে এ ঘটনাটি। সত্য মিথ্যা যাছাই বাছাই চলছে। বিষয়টি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে দেখছে। মনোয়ার হোসেন এর মাইক্রোচালক সোহেল বলেন, কি কারণে ময়মনসিংহ গাড়ি মালিক গিয়েছেন তা তিনি জানেন না। পরে শোনেতে পারেন তিনি নাকি ডলার সংক্রান্ত বিষয়েই ময়মনসিংহে গিয়েছিলেন। মনোয়ারের সহযোগী সুমন এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি না হলেও গাড়ি বেচাকিনার কারণেই মনোয়ার হোসেনের সাথে ময়মনসিংহে যাওয়া কথা স্বীকার করেন। বুধবার বিকাল আড়াইটায় শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজে কথা হয় মনোয়ার হোসেনের সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন,দালালের মাধ্যমে গাড়ি কিনতেই ময়মনসিংহে যাওয়া। ওখানে গিয়ে দালালকে না পাওয়ায় ফিরে আসি। এখানে আসার পর লোকমুখে জানতে পারি ময়মনসিংহ থেকে আমি নাকি ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ইউএস ডলার নিয়ে এসেছি।
বিষয়টি র্যাব পুলিশ তদন্ত ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা স্বীকার করে বলেন,এটা নিছুক গুজব ছাড়া কিছুই নয়। কোন দালালের মাধ্যমে গাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে তিনি ওই দালালের নাম বলতে পারেননি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সোহেল রানা/কমলগঞ্জ