শাব্বির এলাহী, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পবিত্র ঈদুল আজহার পশুর হাট। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় চলছে হাটের বেচাকেনা। ক্রেতাদের সমাগম বাড়ায় গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে হতাশাগ্রস্ত খামারিদের মুখে কিছুটা হাসি ফুটেছে।
শুক্রবার বিকেলে কমলগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট আদমপুর বাজারে সরেজমিন দেখা যায় হাটে বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগলের বেচাকেনা হচ্ছে। সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় পশুর হাট।
সোনাপুর গ্রামের ক্রেতা মোতালিব মিয়া,পতনঊষার গ্রামের আনোয়ার খান, আদমপুরের আকাশ আহমদ জানান, আদমপুর গরুর হাটে গরুর বাজারে মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে । এতে ক্রেতারাও খুশি, খামারি ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। হাটে দেশি জাতের গরুর আধিক্য দেখা যায় আদমপুর বাজারের পশুর হাটে দেখা যায়, দেশি গরুতে বাজার সয়লাব। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া সর্বনিন্ম ৪০-৫০ হাজার টাকায়ও মিলছে গরু। কোরবানি দাতারা বড় গরু বেশি কিনছেন।
আদমপুরের সাদেক হোসেন বলেন, ‘গরুর বাজার প্রথমদিকে একটু মন্দা গেছে। শুক্রবার আদমপুর পশুর হাটে সেই গরু বিক্রি হয়েছে ৮৫ হাজার টাকায়।’ আদমপুর বাজার ইজারাদার জুয়েল চৌধুরী জানান, গত সপ্তাহে এ পশুর হাটে তেমন বেচাকেনা হয়নি। শুক্রবার ভালই বেচাকেনা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ (চ:দা:) ডা: কর্ণ চন্দ্র মল্লিক জানান, উপজেলায় কোরবানি ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত গরুর সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এ উপজেলায় অর্ধশতাধিক খামারি রয়েছে। এবার চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত গরু রয়েছে। তিনি বলেন, কোরবানির জন্য ক্রেতারা যাতে সুস্থ সবল পশু পেতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগে থেকেই খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া হাটগুলোতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসনও কাজ করছে।