সোহেলরানা,কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)

কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের পূর্ব জালালপুর গ্রামে বিদ্যূতের গ্রীড উন্নয়ন কাজ চলাকালে দা, খুন্তি ও রড নিয়ে হামলা চালায় মহিলারা। হামলায় পুলিশের এক এসআইসহ ৬ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ মহিলাকে আটক করে।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির(পবিস) কমলগঞ্জ জোনাল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আদমপুর ইউনিয়নের পূর্ব জালালপুর গ্রামে এসটি এক ফেসের(সিঙ্গেল) লাইনে বিদ্যূৎ সরবরাহ ছিল। এ এলাকায় বিদ্যূতের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে এসটি এক ফেইসকে উন্নতী করে ৩ ফেইসে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। পূর্ব জালালপুর গ্রামের জনৈকা ছায়ারুন বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা এ কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। পবিস কমলগঞ্জ জোনালের জুনিয়র প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কয়েকদিন পূর্বে আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মুন্না রানা সরকারী কাজে বাঁধা না দিয়ে সহায়তা করার অনুরোধকালে এভাবে ছায়ারুন বেগমের বাড়ির মহিলারা ধাওয়া করেছিল।

আজ ৬ ফেরু্রয়ারী ঘটনাস’লে গিয়েছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ কান্তি চৌধুরী ও থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পবিস ও পবিসের ঠিকাদারী সংস’ার লোকজন। এ সময় ছায়ারুন বেগমের নেতৃত্বে ৬/৭ জন মহিলা দা, খুন্তি ও লোহার রড নিয়ে পুলিশ ও পবিসের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে কমলগঞ্জ থানার এসআই মিজানুর রহমান, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মুন্না রানাসহ পবিস ঠিকাদারের আরও ৪ জনসহ মোট ৬ জন আহত হয়। কমলগঞ্জ থানার এসআই মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলায় ৬/৭ জন মহিলা অংশ নেয়। তবে তাৎক্ষনিকভাবে হাজিরুন বেগম(৩০), পিয়ারুন বেগম(৩৫) ছায়ারুন বেগম(৫০)কে আটক করা হয়।

এস,আই মিজান বলেন আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস’তি চলছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ কান্তি চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এই একটি পরিবারের কারণে পূর্ব জালালপুর গ্রামে বিদ্যূতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here